লক্ষ্মণ সাঁতরা : আট দশক পূর্ণ হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিস্ময়কর হাওড়া ব্রিজ, তথা রবীন্দ্র সেতু। হাওড়া ও কলকাতায় যে সমস্ত দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান আছে, সেগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থান করে নিয়েছে রবীন্দ্র সেতু। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনের ধকল এবং পথযাত্রীর দ্বারা পদদলিত হওয়া এই সেতু ৭৭ বছর অতিক্রম করার পরেও এখনও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কয়েক বছর আগেও এই সেতুর ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল। এখন সে সবের বালাই নেই। সেতুটিতে সর্বত্রই পানের পিক ও গুটকার লাল দাগ। কিছু কিছু জায়গায় লোহার রেলিং খোলা। সেতুর প্রায় সর্বত্রই (ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা) যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। কিন্তু পানের পিক ও গুটকা যুক্ত থুতু ফেলা রোধ করার কোনও ব্যবস্থা আজও চোখে পড়ে না। হাওড়ার দিকে ফুটপাথে যেমন সবজি বিক্রেতাদের ভিড়, তেমনই আবার কলকাতার দিকের ফুটপাত ফুল, ফল বিক্রেতাদের দখলে। পশ্চিমবঙ্গবাসী এসব দেখে অভ্যস্ত হলেও ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে এসব হাস্যকর বিষয়।
ঐতিহাসিক ও দ্রষ্টব্য স্থানগুলি যেমন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, এই সেতুটিকেও সেইভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হাওড়া–কলকাতার সংযোগ রক্ষাকারী প্রাচীন এই সেতুর গুরুত্ব উপলব্ধি করে, এর ওপর আরও যত্নবান হওয়া উচিত সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের।
দীপাবলী, দুর্গোৎসব, অলিম্পিক সহ বিভিন্ন উৎসব ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই সেতুকে আলোক সজ্জায় সুসজ্জিত করে তোলা হয়। অথচ ব্রিজের যত্রতত্র পানের পিক ও গুটকাযুক্ত থুতু ফেলা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই করোনা মহামারীতে যদি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে এখানে কেন থুতু ফেলার জন্য শাস্তি হবে না ? থুতু ফেলা রোধ করা যাবে না ? এই প্রাচীন সেতুর প্রতি আর কবে যত্নবান হবো আমরা ?
গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন।
উত্তরমুছুন