সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : নদীর সঙ্গে দেখা। নদীর সঙ্গেই চলা। রূপনারায়ণ, হুগলী ও দামোদর মিলেমিশে এক অনন্য আকর্ষণ তৈরি করেছে। সেই আকর্ষণের টানেই পর্যটকরা ছুটে আসেন হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের গাদিয়াড়ায়। কলকাতা থেকে ৮৫-৯০ কিমি দূরের গাদিয়াড়া ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে উইক-এন্ড ট্যুরের অন্যতম এক জায়গা। বিশেষত বর্ষায় ইলিশের স্বাদ নিতে বহু মানুষই গাদিয়াড়ায় ঢুঁ মারেন। নদীর ধারে নিরিবিলি পরিবেশে দুটি দিন যে কোথা দিয়ে কেটে যায়, তার কিছুই টের পাওয়া যায় না। হরেকরকম পাখির কলরব, ময়ূরের ঘোরাফেরা, হরিণের বিচরণ আপনাকে নিয়ে যাবে এক মোহময়ী পরিবেশে। হাজারো ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি পেতে অনেকেই তাই চলে আসেন গাদিয়াড়ায়।
কিভাবে যাবেন : কলকাতা থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বা মুম্বাই রোড ধরে ৪৬ কিমি এলে বাগনান। সেখান থেকে শ্যামপুর রোড ধরে আরও ৩৫-৪০ কিমি গেলেই পৌঁছে যাবেন গাড়িয়াড়ায়। ধর্মতলা থেকে বাসে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। নিজের প্রাইভেট গাড়িতে দু ঘন্টারও কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। শহর কলকাতা ছাড়িয়ে এই জায়গায় এসে পৌঁছোলে এক অনাবিল আনন্দ গ্রাস করবেই আপনাকে। সমস্ত কোলাহল থেকে দূরে নিজের মতো করে দুটো একটা দিন কাটানোর আদর্শ জায়গা এই গাদিয়াড়া। বিশেষত বর্ষায় গাদিয়াড়ার রূপ যায় আরও পাল্টে। অনেক আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই এলাকা। ফেরিতে চড়ে আপনি গাদিয়াড়া থেকে অপর পাড়ে গেঁয়োখালি বা নুরপুর গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন : এখানে থাকার জন্য রাজ্য সরকারের ট্যুরিস্ট লজ ছাড়াও অনেক বেসরকারি হোটেল ও লজ রয়েছে। সব জায়গাতেই থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। তবে আসার আগে হোটেল বুকিং করে আসাই ভাল। মোটামুটি ডবল বেডের এসির ঘরভাড়া ১২০০-১৫০০র মধ্যে। আর নন এসি ৭০০-৮০০ র মধ্যে। তবে উইক এন্ডে ভাড়া কিছুটা বেশি থাকে। এখানেই খাবার ব্যবস্থা আছে। ইলিশ সহ পছন্দ সই খাবার আপনার হোটেলেই রান্না করে দেবার ব্যবস্থাও আছে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন