সমকালীন প্রতিবেদন : টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে যে প্রশ্নচিহ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তার জবাব ব্যাট হাতেই দিয়ে দিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বিধ্বংসী শতরান করে জাতীয় নির্বাচকদের কাছে কার্যত নিজের দাবি নতুন করে তুলে ধরলেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যখন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিলের ফর্ম ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন যশস্বীর এই ইনিংস ভারতীয় শিবিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিল।
রবিবার পুণের ডিওয়াই পাতিল অ্যাকাডেমির মাঠে সুপার লিগের ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে কার্যত একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন যশস্বী। ৫০ বলে ১০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১৬টি চার ও একটি ছক্কা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে প্রতিপক্ষ বোলারদের কোনও সুযোগ দেননি তিনি। তাঁর এই শতরানের সৌজন্যে ২৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই টপকে যায় মুম্বই।
এই ম্যাচে যশস্বীর পাশে দারুণ সমর্থন দেন সরফরাজ খান। তিন নম্বরে নেমে ২৫ বলে ৬৪ রান করে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন সরফরাজ। যশস্বী-সরফরাজ জুটিতে মাত্র ৩৭ বলেই ওঠে ৮৮ রান। ওপেন করতে নেমে অজিঙ্ক রাহানে করেন ১০ বলে ২১। মুম্বই শেষ পর্যন্ত ১৭.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৮ রান তুলে নেয়। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে বড় হারের পর এই জয় মুম্বইকে ফের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে। শেষ দিকে সামন্ত ও সুমিত কুমারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর দাঁড় করালেও যশস্বীর সামনে তা যথেষ্ট হয়নি। এই শতরান ছিল সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যশস্বীর প্রথম সেঞ্চুরি এবং পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চতুর্থ। শুধু তাই নয়, মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তাড়া করার নজিরও গড়ে ফেলেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই।
টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে নিয়মিত সুযোগ পেলেও টি-টোয়েন্টিতে এখনও ব্রাত্য যশস্বী। কোচ গৌতম গম্ভীর ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর তাঁকে এই ফরম্যাটে ভাবছেন না। অথচ শেষ ছ’টি টি-টোয়েন্টিতে শুভমন গিলের রান এসেছে ০, ৪, ২৯*, ৪৬, ১৫ ও ৫—যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যশস্বীর শতরান যে জাতীয় দলে ফেরার জোরালো বার্তা, তা মানছেন ক্রিকেটমহলের একাংশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁর ব্যাট যে নির্বাচকদের ঘুম কাড়ছে, তা বলাই যায়।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন