সমকালীন প্রতিবেদন : ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের বিএলও-দের নথি যাচাই সংক্রান্ত অ্যাপে বহু ভোটারের নাম না থাকায় প্রথম দিনের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে অযথা হয়রানির অভিযোগ উঠতেই দ্রুত অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভোটারদের আর শুনানিতে ডাকা হবে না। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছেও এই মর্মে স্পষ্ট নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
কমিশনের তরফে জেলাশাসকদের কাছে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই শ্রেণির ভোটারদের জন্য যদি আগে কোনও শুনানির নোটিস জারি হয়ে থাকে, তা ইআরও ও এইআরও-দের কাছেই সংরক্ষিত থাকবে। ভোটারদের নতুন করে হাজিরা দিতে হবে না। কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও বিএলও অ্যাপে বহু ভোটারের তথ্য প্রতিফলিত হয়নি।
এদিকে, প্রবীণ নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতেও বিশেষ পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি যে ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে কমিশনের আধিকারিকরা বাড়িতে গিয়েই শুনানি সম্পন্ন করবেন। এই বিষয়েও জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানিতে ২০০২-এর তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বিএলও অ্যাপে নাম না থাকায় বহু ভোটারকে ডাকা হয়। পাশাপাশি, দূর দূরান্ত থেকে প্রবীণ নাগরিকদের শুনানিতে হাজিরা দিতে বাধ্য হওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশোধনী পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন