Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

পরীক্ষার হলে চুইংগাম খাওয়া নিয়ে বিবাদ, স্কুলের গেটেই ছাত্রকে ছুরি! উত্তেজনা বনগাঁয়

 

Student-injured

সমকালীন প্রতিবেদন : পরীক্ষার হলে চুইংগাম খাওয়া নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত সংঘর্ষে পরিণত হল। অভিযোগ, পরীক্ষার পর স্কুলের গেটের সামনে সহপাঠীকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র। গুরুতর জখম হয় এক পড়ুয়া, ‌যে বন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল। শুক্রবার বনগাঁর নগেন্দ্রনাথ হাই স্কুলের সামনে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার সময় এক ছাত্র চুইংগাম খাচ্ছে দেখে তা পরীক্ষকের কাছে জানায় আরেক পরীক্ষার্থী। সেই ক্ষোভ থেকেই পরীক্ষার শেষে অভিযুক্ত ছাত্র তুহিন সহপাঠীকে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

পরীক্ষা শেষে স্কুলের গেটের সামনে দলবল নিয়ে অপেক্ষা করছিল তুহিন। সহপাঠী স্কুল থেকে বেরোতেই শুরু হয় কলার ধরে মারধর। ওই সময় বন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে নবম শ্রেণিরই আর এক ছাত্র সুনীল দত্ত। তখনই তুহিন ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে সুনীলের পিঠে আঘাত করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুনীল। হামলার পরেই এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত।

ঘটনার পর অন্যান্য পড়ুয়ারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানায়। কিন্তু পরিবারের দাবি, স্কুল আহত ছাত্রকে হাসপাতালে না নিয়ে ‘অভিভাবক ডাকা হবে’ বলে দায় এড়িয়ে যায়। রক্তাক্ত সুনীলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যান বনগাঁ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ রক্তমাখা জামা নিজেদের হেফাজতে রেখে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্কুল ছাত্র সহপাঠীর হাতে রক্তাক্ত হবার পরেও বিষয়টিকে সামান্য ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিয় ঘোষ। তিনি বলেন, পরীক্ষার পর স্কুল গেটের বাইরে দুই দল ছেলের মধ্যে বচসা হয়। পরে তা মিটেও যায়। এর সঙ্গে স্কুলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণকে '‌দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে আখ্যা দিয়েছেন আহত ছাত্রের পরিজনেরা।

এদিনের ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসীর একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, ছাত্ররা কীভাবে ব্যাগে করে ছুরি নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে? কেন আগে থেকে এ বিষয়ে নজরদারি ছিল না? এতোবড় ঘটনার কথা জেনেও কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ আহত ছাত্রের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিল? ‌ঘটনার কথা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে জানানো হলেও এদিন বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন