সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার, ২১ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল পদে পরীক্ষা চলাকালীন গাইঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে টুকলি ও প্রযুক্তিনির্ভর অনিয়মের অভিযোগে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ব্লুটুথ ডিভাইস, হেডফোন-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ও আপত্তিকর সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি গাইঘাটাতেও কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি, গাইঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় এবং গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। ওই সব কেন্দ্রেই কয়েকজন পরীক্ষার্থী গোপনে ব্লুটুথ হেডফোন ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে বাইরে থেকে উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই তারা পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষার্থী ও তাদের হয়ে বাইরে থেকে ‘টুকলি সাপ্লাই’ দেওয়ার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তল্লাশিতে ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্লুটুথ ডিভাইস, হেডফোন ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার নেপথ্যে একটি সংঘবদ্ধ টুকলি চক্র কাজ করেছে। মোটা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়াই ছিল এই চক্রের কাজ।
পুলিশের দাবি, রবিবারও ওই চক্রের একাধিক সদস্য পরীক্ষার্থীদের বাইরে থেকে সহযোগিতা করার জন্য সক্রিয় ছিল। অভিযানে ধৃতদের বেশিরভাগই নদিয়া ও বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম বিধান বিশ্বাস, সদর আলী মণ্ডল, হিরন বিশ্বাস, শিশির সরকার, সুমন দাস, রাজ বিশ্বাস, তুহিন মণ্ডল, কৌশিক সর্দার এবং সুদীপ্ত বিশ্বাস। বাকি ধৃতদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, গাইঘাটার পাশাপাশি গোপালনগর থানার অন্তর্গত নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেখানে মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা সৌভিক বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ধৃতদেরকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অন্য কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে একই ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন