Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলায় হাড়কাঁপানো শীত

 

Bone-chilling-cold

সমকালীন প্রতিবেদন : ডিসেম্বর মাস প্রায় শেষের পথে পৌঁছলেও এখনও পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীতের দেখা মেলেনি বাংলায়। মাঝেমধ্যে উত্তরের হাওয়া বইয়ে শরীরে কাঁপুনি ধরালেও শীতপ্রেমীদের মন ভরার মতো ঠান্ডা পড়েনি। সামনে বড়দিনের ছুটি, পিকনিক আর ভ্রমণের পরিকল্পনাও তৈরি। কিন্তু শীত ঠিকমতো না পড়লে সেই আনন্দও যেন আধখানা থেকে যায়। এই পরিস্থিতিতেই স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার উপর প্রভাব ফেলতে থাকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটলেই রাজ্যে ফিরবে ‘শুকনো’ শীত। কুয়াশার দাপট কমে স্বাভাবিক শীতের আমেজ দেখা যাবে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বড়দিনের ঠিক পরেই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল এবং পশ্চিমের একাধিক জেলায় পারদ নেমে যেতে পারে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বছরের শেষ লগ্ন পর্যন্ত শীতের পথে আর বড় কোনও বাধা নেই বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই হিমেল হাওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার জেরেই বড়দিনের আগে ও পরে শীত পড়বে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। ঝঞ্ঝার প্রভাবেই গত কয়েক দিন পঞ্জাব থেকে বাংলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘন কুয়াশার বলয় তৈরি হয়। কুয়াশার দাপট এতটাই ছিল যে, গত শনিবার নদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান নামতেও সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন সেই ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে হাওয়া অফিস।

উত্তরবঙ্গের ছবিটাও কিছুটা বদলাতে চলেছে। শীতের ভরা মরসুমে দার্জিলিঙে পারদ নেমেছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গেও মোটের উপর একই ধরনের ঠান্ডা আবহাওয়া বজায় ছিল। তবে বড়দিনের সময় দার্জিলিঙে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস। ফলে উত্তরের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে বড়দিনে শীতের দাপট সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

সব মিলিয়ে, কুয়াশা ও ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে রাজ্যে ফের শীতের স্বস্তি ফিরতে চলেছে। বড়দিনের পর থেকেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের আমেজ আরও স্পষ্ট হবে বলেই আশা আবহাওয়াবিদদের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন