সমকালীন প্রতিবেদন : আগামী ৯ জানুয়ারি বনগাঁ সফরে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের এই হাই-প্রোফাইল নেতার সফরকে ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। সফর সফল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার চন্দ্রিকা হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার আয়োজিত এই বৈঠকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব ও স্থানীয় স্তরের জনপ্রতিনিধিরা। দলীয় সূত্রে খবর, অভিষেকের সফরকে কেন্দ্র করে সংগঠনের প্রতিটি স্তরে সমন্বয় বজায় রাখা এবং কর্মীদের সক্রিয় করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে জনসংযোগ বৃদ্ধি এবং তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই সভায়।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৯ জানুয়ারি দুপুর ২টো নাগাদ তাহেরপুর থেকে বনগাঁ হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে পৌঁছাবেন। সেখানে তাঁর প্রধান কর্মসূচি হলো ঠাকুরবাড়ি দর্শন এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের আরাধ্য হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা। তবে ঠাকুরনগরে কোনও সভা অনুষ্ঠিত হবে না। ঠাকুরনগর থেকে তিনি কলকাতায় ফিরে যাবেন।
এব্যাপারে বিশ্বজিৎ দাস জানান, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবে। কর্মীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আমরা একযোগে কাজ করছি এই কর্মসূচিকে সর্বাঙ্গীণ সফল করতে। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন বিজেপির লোকেরা তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিল। এটা তাদের নিম্ন রুচির পরিচয়।"
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিষেকের এই ঠাকুরনগর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে মতুয়া ভোট এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এই সফরের মাধ্যমে একদিকে যেমন দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শিত হবে, অন্যদিকে কর্মীদের মনোবল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যেই এই সফরকে কেন্দ্র করে বনগাঁ শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন