Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

বকেয়া অর্থ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে জনস্বাস্থ্য দপ্তরের ঠিকাদারেরা

 ‌

Contractors-in-protest

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, গত প্রায় ১৮ মাস ধরে দফতরের পক্ষ থেকে কোনও অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে না। আর এইভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা হয়ে রয়েছে। 

নর্থ ২৪ পরগনা পিএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে তাদের নিজেদের দাবির সমর্থনে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলো। সেখানে সংগঠনের মহকুমা এবং জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল জানান, পানীয় জলের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু আমরা প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। অথচ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে গত ১৮ মাস ধরে তাঁদের এই কাজের বাবদ পাওনা অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক সমস্যায় পরেছেন এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারেরা।

সংগঠনের কর্তারা জানিয়েছেন, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প মিলিয়ে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ছয় থেকে সাত হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। জেলায় এই বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আর বনগাঁ মহকুমায় এই বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। 

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব সহ অন্যান্য উৎসব কেটে গেলেও দপ্তর তাঁদের পাওনা টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এইভাবে দিনের পর দিন বকেয়া অর্থ ফেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অবিলম্বে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে বিক্ষোভ, আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদারেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ৭ নভেম্বর রাজ্যস্তরে এ ব্যাপারে একটি সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। সেখানেই পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে। প্রয়োজনে গোটা রাজ্যে তাঁরা পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। যদিও এ ব্যাপারে দপ্তরের কোনো আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন