সমকালীন প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষার ঠিক দু’দিন আগে কমিশনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ও পরীক্ষার যাবতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নবম-দশম স্তরে মোট ২৩,২১২টি শূন্যপদ এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরে ১২,৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৩৫,৭২৬টি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিতে চলেছেন। কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার ১৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ মেনে শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় স্নাতক স্তরে ন্যূনতম নম্বরের নিয়ম ছিল ৪৫ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে সেই মানদণ্ড বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। ফলে অনেকে নতুন পরীক্ষায় আবেদন করতে পারেননি। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে পূর্বের নিয়মে আবেদন করার সুযোগ পান। এর ফলে দ্বিতীয় দফায় পুনরায় আবেদনপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হয় কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, পরীক্ষায় কোনওভাবেই যে সব জিনিস সঙ্গে রাখা যাবে না, সেগুলি হল— মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, যেকোনও ধরনের ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, লগ টেবিল ইত্যাদি। এসব সামগ্রী কারও কাছে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করা হবে।
পরীক্ষার্থীদের অনুমতি থাকবে কেবল স্বচ্ছ বোতলে পানীয় জল, স্বচ্ছ নীল বা কালো কালির কলম, কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড, বৈধ আসল পরিচয়পত্র (ভোটার কার্ড/আধার), সব কাগজপত্র রাখতে হবে স্বচ্ছ ফোল্ডারে।
পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। সকল পরীক্ষার্থীকে সকাল ১১টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। গেট বন্ধ হয়ে যাবে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। কমিশনের পরামর্শ, কোনও ঝামেলা এড়াতে সকাল ১০টার মধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে।
৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর যাতে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা না হয়, তার জন্য নবান্নের তরফে পরিবহন দফতরকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষকেও বাড়তি ট্রেন পরিষেবার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। বন্যা বা প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় রেখে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের কেন্দ্রের আশেপাশে জল না জমতে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে সরাসরি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্প্রতি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশন ‘দাগি’ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। এবার নতুন নিয়মে ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে এসএসসি। ফলে আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তীব্র আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন