সমকালীন প্রতিবেদন : বাইশ গজে এর থেকে মধুর প্রতিশোধ হয়তো হয় না। এক নয়, দুই নয়, এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে টানা তিনবার হারাল ভারত। সেই সঙ্গে ফের একবার এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ৪১ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল, সেখানে বাজিমাত করল ভারত।
তবে এই ম্যাচের হিরো অভিষেক শর্মা নন, ফাইনালে আগুন ঝরল তিলক বর্মার ব্যাটে। তাঁকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিলেন শিবম, সঞ্জুরা। আর বোলিংয়ে ফের একবার সুপারহিট কুলদীপ যাদব। কেন তিনি এশিয়া কাপের সেরা বোলার, সেটা আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন ভারতের এই চায়নাম্যান।
রবিবারের মেগাম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এদিন ওপেনিং জুটি হিসেবে ৮৪ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান এবং ফখর জামান। এদিন ফারহান করেন ৫৭, ফখর করেন ৪৬। বাকি আর কোনও পাক ব্যাটার এদিন বাইশ গজে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি।
সাইম আয়ুব ছাড়া আর কেউই এদিন ‘ডবল ডিজিট’ স্কোর করতে পারেননি। শেষমেশ ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। একজোড়া করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী এবং অক্ষর প্যাটেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে একের পর এক ধাক্কা খায় টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। অভিষেক শর্মার ব্যাট থেকে এদিন মাত্র ৫ রান আসে, ১২ রান করেন শুভমন গিল, মাত্র ১ রানে আউট হন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তবে প্রথম তিন ব্যাটার আউট হওয়ার পর বড় ম্যাচে স্কোরবোর্ডের হাল ধরেন সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা। তবে ২৪ রান করে আরবার আহমেদের শিকার হন সঞ্জু।
তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি টিম ইন্ডিয়াকে। শিবম, তিলকের ব্যাট এদিন জয়তিলক এঁকে দেয় ভারতের কপালে। তবে ম্যাচের ফিনিশিং শট খেলেন রিঙ্কু সিং। ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক, শিবম দুবে করেন ৩৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও আরবার আহমেদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন