সমকালীন প্রতিবেদন : হারলেই ছিটকে যেতে হতো। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত নকআউট ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৪১ রানের জয় তুলে নিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করল পাকিস্তান। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইতে ফের ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। শুরুতেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছিল। কারণ প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে পাকিস্তান। জুনেইদ সিদ্দিকি টপ অর্ডারে ধাক্কা দেন। তবে ফখর জামান ও সলমন আগা ধীরে ধীরে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। শেষ দিকে শাহিন শাহ আফ্রিদির ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান।
রান তাড়ায় শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও স্থায়ী হয়নি আমিরশাহির ব্যাটিং। আলিশান শারাফু দ্রুত ফিরলে ভরসা ছিল মহম্মদ ওয়াসিমের কাঁধে। কিন্তু তিনিও মহম্মদ নওয়াজের দুরন্ত ক্যাচে বিদায় নেন। রাহুল চোপড়া ও ধ্রুব পরাশর কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও প্রয়োজনীয় পাওয়ার হিটার দলের অভাবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে অল আউট হয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ ও আবরার আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। সাইম আয়ুবের ঝুলিতেও যায় একটি উইকেট।
তবে মাঠের লড়াইয়ের মতো বাইরের নাটকও কম হয়নি। ম্যাচ শুরুর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে মেইল করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানায়। বিতর্কিত ‘হ্যান্ডশেক ইস্যু’-কে ঘিরে এই আবদার করা হয়েছিল। দু’বার অনুরোধ সত্ত্বেও আইসিসি সে দাবি মানেনি। ফলে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যেই মাঠে নামে পাকিস্তান। এমনকি নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলেও ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে কোণঠাসা ছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে আরব আমিরশাহি ভারতের কাছে হেরে গেলেও ওমানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল। তাই এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল দুই দলের কাছেই সমান। জয়ই নিশ্চিত করত সুপার ফোরের টিকিট। সেই জায়গায় চাপের মুখে ব্যাটে-বলে সেরাটা উজাড় করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান।
এখন নজর রবিবারের দ্বৈরথে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কতটা লড়াই দিতে পারে, সেটাই দেখার। সুপার ফোরে মুখোমুখি সংঘর্ষ ছাড়াও পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ফাইনালেও দেখা হতে পারে দুই দলের। ফলে ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষা করছেন আরেকটি উচ্চ ভোল্টেজ লড়াইয়ের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন