সমকালীন প্রতিবেদন : মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ সংক্রান্ত মামলায় নিজেদের চূড়ান্ত বক্তব্য লিখিত আকারে পেশ করল রাজ্য সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল হলফনামা জমা দেন। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বাংলার মতো আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোক্তা মূল্য সূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) অনুসরণ করে না। তালিকা আকারে সেই ১০টি রাজ্যের নামও বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলির ডিভিশন বেঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আদালতে সিব্বল ফের দাবি করেন, ডিএ সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো এক নয়। কেন্দ্র যে হারে মহার্ঘভাতা দেয়, সেই হারে রাজ্যের দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে।
তবে মামলাকারী কর্মীদের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, ডিএ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নিয়মিত দিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, ইচ্ছেমতো হারে বা সময়ে মহার্ঘভাতা দেওয়া যায় না। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দিলেও তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মেটাতে হবে। এই বিষয়ে আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, রাজ্যের জমা দেওয়া নথির ভিত্তিতে তাঁরাও পাল্টা বক্তব্য জানাবেন। আদালত অবশ্য এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উভয় পক্ষকে তাদের বক্তব্য জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিএ দেওয়ার দাবি করে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এবিষয়ে আগে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়সীমা হিসেবে প্রায় ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজ্য তা পূরণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, নতুন করে কারও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার রাজ্য সরকার তাদের চূড়ান্ত লিখিত বক্তব্য পেশ করল। মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। তবে রায়দানের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন