সমকালীন প্রতিবেদন : ব্যস্ততার কারণে আপনার ওজন বেড়ে যাচ্ছে? ভাবছেন ভুল পড়ছেন না তো? হ্যাঁ জানেন কি অতি ব্যস্ততায় ওজন বৃদ্ধির কারণ? তবে ব্যস্ত রুটিন সামলেও, ফিট থাকা যায় অনায়াসে। আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে এরকম পাঁচটা পয়েন্ট। যেগুলো মেন্টেইন করলে আপনি আপনার ব্যস্ত লাইফেও থাকতে পারবেন 'ফিট অ্যান্ড ফাইন'।
বসে থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ফিটনেস প্রলিক্ষকদের একাংশ বলছেন, এ যুগে অতি ব্যস্ততাই ওজনবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ। কারণ মানুষ ব্যস্ততা সামলাতে গিয়ে নিজের শরীরের প্রতি চরম অবহেলা করছেন। যোগব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকছেন। ওয়ার্ক আউটের ধারে কাছে ঘেঁষতে চাইছেন না অনেকে। ফলে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়ছে।
সেক্ষেত্রে যাঁরা অতিরিক্ত ব্যস্ত, তাঁদের ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তাও বাকিদের থেকে বেশি। এখন প্রশ্ন হল কাজকর্মের চাপ সামলে, পারিবারিক, সামাজিক সবরকম দায়িত্ব মিটিয়ে কিভাবে আপনি নিজেকে ফিট রাখতে পারবেন? কারণ এসবের বাইরে যতটুকু সময় ফ্রি থাকছেন, তখন খুব স্বাভাবিকভাবে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ফিটনেস প্রশিক্ষকদের একাংশ বলছেন এঁদের জীবনে বিশ্রাম যতটা জরুরি, ততটাই প্রয়োজনীয় ফিট থাকা। যে কাজটা খুব একটা কঠিন নয়। মাত্র কয়েকটি অভ্যাস মেনে চলতে পারলেই, ব্যস্ততা সামলেও ফিট থাকার রুটিন আপনি অনায়াসে বজায় রেখে চলতে পারবেন। যেমন–
১) শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকায় গুরুত্ব দিন বেশি করে। জিমে যাওয়ার সময় নাই থাকতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সারা দিনের অভ্যাসে বদল আনুন। নিজের আসন ছেড়ে হেঁটে আসার একটা সুযোগও ছাড়বেন না। অফিসের ডেস্কে বসেও অনেক রকম ব্যায়াম করা যায়। এক জায়গায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকার সময় পাঁচ মিনিটের জন্য ওই ধরনের ব্যায়াম করে নিন। এতেই অনেক উপকার মিলবে। এ ছাড়া যাতায়াতের পথে কিছুটা বেশি হেঁটে নেওয়ার সুযোগও চাইলেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
২) খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর রুটিন বানান। সারাদিনে কি খাবেন বা কি খাবেন না, সেটার একটা চার্ট বানিয়ে ফেলুন। সপ্তাহে সাত দিনের সাতটি খাবার তালিকা করে ফেলতে পারলে আরও ভাল। দিনে ৫-৬ বারে খাবার সময় ভেঙে নিলে আর প্রতি বার অল্প অল্প খাবার খেলে বিপাকের হার ভাল থাকবে। এটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যও খুব উপকারী।
৩) যতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন নিজের মিটিংকে কাজের জায়গায় অথবা নিজের পরিবারকে, ঠিক তেমনই গুরুত্ব সহকারে দিনে আধ ঘণ্টা সরিয়ে রাখুন নিজের শরীরচর্চার জন্য। বাকি যত কাজের জন্য সময় রাখবেন, ওই আধ ঘণ্টা বাদ দিয়েই রাখবেন। এতে কিন্তু দুর্দান্ত কাজ হবে।
৪) ফিটনেস ট্র্যাকার, ফিটনেস অ্যাপের মতো প্রযুক্তিতে নিজের রুটিন নথিবদ্ধ করুন। এই ধরনের প্রযুক্তি আপনাকে উৎসাহ দেবে। তাতে নিজেকে "অ্যাকটিভ" রাখা সহজ হবে। উপকার পাবেন বেশি।
৫) যতই ব্যস্ততা থাকুক আপনার জীবনে ঘুম আর জল খাওয়ার কথা কিন্তু কোনোভাবেই ভোলা যাবে না। আপনি যাই করুন না কেন নিজের দৈনিক বিশ্রামের সময়ের সঙ্গে কোনও রকম আপোস নয়। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। খেয়াল রাখুন সেটুকু যেন বাদ না যায়। পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে জল খাচ্ছেন কিনা সেদিকেও নজর রাখুন।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন