সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ শহরকে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করতে আগামীদিনে বনগাঁ শহরের ৫টি বিলকে সংস্কার করা হবে। সেখানকার জলাধারের নিচের মাটি কাটিয়ে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে। আর এর ফলে বর্ষার অতিরিক্ত জলের অনেকটাই সেখানে জমা হতে পারবে। এমনই পরিকল্পনার কথা জানালেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ।
টানা বর্ষণে বনগাঁ ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ত্রাণ ও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার বনগাঁ পুরপ্রধান গোপাল শেঠের কাছে পাঁচ দফা দাবি-সহ ডেপুটেশন দিল এসইউসিআই-এর বনগাঁ শাখা।
দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে—
* প্লাবিত এলাকায় দরিদ্র মানুষকে অবিলম্বে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও প্রয়োজনে কমিউনিটি কিচেন চালু।
* জলে ডুবে থাকা এলাকায় কনটেনারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল ও প্রয়োজনীয় জল পরিশোধক বিতরণ।
* বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও কৃষকদের আর্থিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ।
* রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে নিয়মিত স্বাস্থ্য নজরদারি।
* বনগাঁ, গাইঘাটা ও বনগাঁ ব্লকের যৌথ পরিকল্পনায় ইছামতি নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার।
এসইউসিআই নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষাকালে একই পরিস্থিতি তৈরি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এই বিষয়ে বনগাঁ পুরপ্রধান গোপাল শেঠ জানান, “এসইউসিআই যে বিষয়গুলির উপর ডেপুটেশন দিয়েছে, তার অনেকগুলিই আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করেছি। আগামীদিনে শহরের ৫টি বিল খননের কাজ হবে, যাতে বর্ষায় অতিরিক্ত জল সেখানে জমা থাকতে পারে। নদীর বুক থেকে কচুরিপানা সরাতে যন্ত্রও কাজে লেগেছে।” তিনি আরও জানান, এই পরিকল্পনা ও কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ডেপুটেশনকারীদের অবহিত করা হয়েছে এবং তারা তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন