সমকালীন প্রতিবেদন : পুরনো পারিবারিক বিবাদ গড়াল নারকীয় অপরাধে। বনগাঁ থানার অন্তর্গত সভাইপুর এলাকায় এক গৃহবধূর উপর প্রতিবেশী বাবা ও ছেলের হাতে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূ বর্তমানে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত দু’জন পলাতক। অভিযুক্তদের নাম জয়ন্ত সরদার ও তাঁর ছেলে পুলক সরদার।
অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিবাদ থেকেই শনিবার শুরু হয় বিবাদ, যা আজ, রবিবার চূড়ান্ত আক্রমণের রূপ নেয়। আহত গৃহবধূর দাবি, শনিবার সকালে জয়ন্ত ও পুলক তাঁকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয় যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করা হবে। সেই ঘটনার কথা তিনি বাড়ি ফিরে স্বামীকে জানান। এরপর তাঁর স্বামী প্রতিবেশী বাবা-ছেলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অভিযোগ, দু’জনে মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর স্বামীকে তাড়া করে। তবে আশেপাশের লোকজনের উপস্থিতিতে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।
আজ, রবিবার সকালে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত জয়ন্ত ও পুলক তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, তাঁরা গৃহবধূর জামাকাপড় ছিঁড়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে জয়ন্ত সরদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলার ঘাড়ে কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান ওই বধূ। চিৎকার শুনে ওই মহিলার ছেলে ও মেয়ে ছুটে এসে চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসেন। খবর দেওয়া হয় তাঁর স্বামীকে। দ্রুত তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকেরা জানান, ঘাড়ে গভীর ক্ষতের জন্য চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।
পরে বনগাঁ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকেই জয়ন্ত ও পুলক সরদার পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের চেষ্টা, মারাত্মক হামলা, হুমকি ও অশ্লীল ব্যবহার-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর সভাইপুর এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়ায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন