সমকালীন প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন তীব্র গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যাবে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, এবং পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে এই পরিস্থিতি আরও প্রকট। উপকূলবর্তী অঞ্চল — বিশেষত দিঘা, কাকদ্বীপ, মন্দারমণি ইত্যাদি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই হলুদ সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেক জেলায় ৩৮–৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি সবচেয়ে বেশি উপকূলবর্তী এলাকায়। বুধবার বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
ঘন্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া সহ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি শুক্রবার, ১৩ জুন পর্যন্ত চলবে বলে পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া দুটি ঘূর্ণাবর্ত ও তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গ, বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটেছে। ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ সমগ্র পার্বত্য ও সমতল উত্তরবঙ্গ জেলাগুলিতে বুধবার, ১১ জুন থেকে প্রতিদিন বৃষ্টি হতে পারে।
পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকবে। শুক্রবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নদী উপচে পড়া বা ধসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়া মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে খোলা মাঠ, গাছতলা, উঁচু ভবনের ছাদে অবস্থান এড়ানো উচিত।
উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে মাটি ধসের ঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে মৎস্যজীবীদের আগামী কয়েকদিন সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলবে, তবে বুধবারের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা শুরু হয়ে গিয়েছে, যার ফলে আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি এবং শুক্রবারের পর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জনগণকে আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুসরণ করে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন