কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কম। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সেটি উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে সমুদ্র থাকবে উত্তাল। যার কারণে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, রথযাত্রার দিন অর্থাৎ শুক্রবার বৃষ্টির প্রকোপ আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে সারা সপ্তাহ জুড়ে চলবে বৃষ্টির দাপট। বৃহস্পতিবার বিশেষ কোনও সতর্কতা না থাকলেও ন’টি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে অতি ভারী মাত্রায় (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত)।
শনিবার ও রবিবারও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আগামী পাঁচ দিন ধরে জারি থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন