সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের সোনার চোরাচালান রুখল সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার জিতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় এক সন্দেহভাজনের কাছ থেকে অভিনব কৌশলে লুকানো প্রায় ২.৩৬ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ২.৩১ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
২৫ জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা জিতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানদের নজরে আসে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তি সাইকেলে করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিল। নিয়মিত তল্লাশির সময় জওয়ানদের নজর যায় সাইকেলের টায়ারের দিকে। কারণ, সাইকেলের পিছনের টায়ারটি অস্বাভাবিকরকম ফুলে ছিল।
তল্লাশি শুরু হতেই আচমকা সেই ব্যক্তি সাইকেল ফেলে দ্রুত কাশীপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তৎপর বিএসএফ সদস্যরা তল্লাশি অভিযান জোরদার করেন এবং স্থানীয় থানাসহ সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে অবহিত করেন। পরে সাইকেলের পিছনের টায়ার খোলার পর, তার ভেতর থেকে উদ্ধার হয় মোট ২০টি সোনার বিস্কুট। প্রতিটি বিস্কুট অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লুকিয়ে রাখা ছিল যাতে বাহ্যিকভাবে কিছু বোঝা না যায়।
উদ্ধারকৃত সোনার মোট ওজন ২.৩৬৭ কেজি এবং আনুমানিক বাজারমূল্য ২,৩১,২২,৭৫৬.৭০ টাকা। এই সোনার বিস্কুটগুলি প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রানাঘাট সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ সূত্রে খবর, সোনার চোরাচালান রুখতে তারা সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ২৪ জুন, বিএসএফ-এর ৬৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা উত্তর ২৪ পরগনার লক্ষ্মীপুর সীমান্তে এক অভিযানে প্রায় ২.৪৩ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছিলেন। আর তার ঠিক পরের দিন ফের বিপুল পরিমাণ অর্থের সোনার বিস্কুট ধরা পড়লো সীমান্তে।
বিএসএফ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'এই ধরনের চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কড়া অবস্থান রয়েছে। সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে যাতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই আমরা নিরবচ্ছিন্ন তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন