Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

মহাদেবের মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে কি ফল পাবেন?‌

 ‌

Mahamrityunjay-Mantra

সমকালীন প্রতিবেদন : এই একটা মন্ত্র পাঠ করলেই বদলে যাবে জীবন! এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পাওয়ারফুল মন্ত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। পাঠ করেছেন কখনো? মহাদেব তুষ্ট হবেন নিশ্চিত! তবে নিয়ম মেনে পাঠ না করলে হতে পারে বড় বিপদ! জানেন ‌সঠিক নিয়ম? দিনের কোন সময় পাঠ করবেন? পদ্ধতিটাই বা কি? কেন পাঠ করবেন মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র? যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য এই মন্ত্রটাও প্রতিবেদনের মাঝে উল্লেখ করা থাকবে। এই প্রতিবেদন পড়লে আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। 

কথিত আছে, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র নাকি মহাদেবের সবথেকে প্রিয় মন্ত্র। কিন্তু সেই মন্ত্র যখন তখন যে কোনও ভাবে পাঠ করলেই হবে না। মনে রাখবেন, দেবাদিদেব যেমন অল্পে তুষ্ট হন, তেমনই অল্পে রুষ্টও হন। তাই মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করার আগে জানুন প্রপার নিয়ম। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর নিষ্ঠা সহকারে, নিয়ম মেনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রে পাঠ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে। মহাদেবের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্তাবে নিশ্চিতভাবে।

সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলবো মন্ত্র। "ওঁ ত্রম্বকম যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টি বর্ধনম। ঊর্বারু কমিব বন্ধনাৎ মৃত্যুমক্ষীয় মামৃতাৎ।’’ কিন্তু শুধু মন্ত্র জানলে হবে না, এই মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের তাৎপর্য কী? সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে বলবো এই মন্ত্র পাঠের পদ্ধতি এবং সময়। 

এক, সূর্যোদয়ের আগে, অর্থাৎ ব্রাহ্মমুহূর্ত হল এই মন্ত্র পাঠ করার আদর্শ সময়।

দুই, ওই সময় ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার, কাচা জামাকাপড় পরতে হবে।

তিন, কুশের আসন পেতে তার উপর পা মুড়ে, পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসতে হবে।

চার, সামনে একটা শিবমূর্তি বা শিবলিঙ্গ রেখে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে মহাদেবের পাশে রাখতে হবে।

পাঁচ, হাতে একটি রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন। মন্ত্রটি জপ করার সময় আপনার মন যেন অন্য কোনও দিকে ডাইভার্ট না হয়, এক মনে এই মন্ত্র জপ করতে হবে। মন্ত্র পাঠ করার মাঝে কোথাও উঠে যাওয়া যাবে না। কেউ ডাকলে সাড়াও দেওয়া যাবে না।

ছয়, মন্ত্রপাঠ শেষে দেবাদিদেবকে প্রণাম করে নিজের মনের সকল বাসনা জানান আর সব জিনিস তুলে আবার পরিষ্কার জায়গায় রেখে দিন।

এবার বলবো এই মন্ত্র পাঠের উপকারিতা। 

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের উপকারিতা :

ক) এই মন্ত্র পাঠে যে কোনও প্রকার ভয়কে জয় করা সম্ভব।

খ) কথিত রয়েছে, নিষ্ঠাভরে এবং সঠিক নিয়ম মেনে এই মন্ত্র পাঠ করলে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যে কোনও প্রকার দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র আপনাকে রক্ষা করবে।

গ) কালসর্প দোষের কুপ্রভাব এই মন্ত্রপাঠের ফলে কিছুটা হলেও কমবে।

ঘ) মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। জীবনে সব দিক দিয়ে উন্নতি লাভ করা যায়।

ঙ) এই মন্ত্র জপ করলে রোগব্যাধি থেকেও অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়

আসলে, শিবের সকল মন্ত্রগুলোর মধ্যে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রকে সবথেকে শক্তিশালী। ঋগ্বেদে এই মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত রয়েছে, আগেকার দিনে লোকেরা বহু দিনের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, নিজেকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মৃত্যুভয় কাটিয়ে ওঠার জন্য মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করতেন। আর আজ? যুগ বদলেছে, সময় বদলেছে, কিন্তু তারপরেও মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র একইভাবে ফিরছে মানুষের মুখে মুখে।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন