Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি পঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু

 

IPL-final

সমকালীন প্রতিবেদন : দলের কাছে ছিল অনেক প্রত্যাশা, পঞ্জাব কিংস এর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দেখা যাচ্ছে– শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে দল সেই প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে, আইপিএলের ২০২৫ মরসুমে এক উত্তাল, নাটকীয় এবং আবেগঘন কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। 

শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে দলটি প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছে। আগামী ৩ জুন, মঙ্গলবার, আহমেদাবাদে তারা মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ২-তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ধাক্কা খায় পঞ্জাব। প্রভসিমরন সিং, প্রিয়াংশ আর্য, ও জশ ইংলিশ দ্রুত উইকেট হারালে চাপ বাড়তে থাকে। 

তবে নেহাল ওয়াধেরা এবং অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার মিলে পাল্টা আক্রমণ করেন। বিশেষ করে শ্রেয়স ছিলেন দুরন্ত ছন্দে— ৪১ বলে ৮৭ রান, তাতে ছিল অসাধারণ শট নির্বাচন, তীক্ষ্ণ জেদ এবং পরিণত কৌশল। জয়ের বন্দরে পৌঁছতে শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। শ্রেয়স একাই খেলাটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। মুম্বইয়ের একাধিক বোলার, এমনকি বুমরাহ পর্যন্ত তাঁর সামনে অসহায় ছিলেন।

মুম্বইয়ের ব্যাটিং ইনিংসেও দেখা গেছে উচ্চমানের ক্রিকেট। সূর্যকুমার যাদব তাঁর ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন এবি ডিভিলিয়ার্সের এক মরশুমে সর্বাধিক রানের রেকর্ড। বেয়ারস্টো ও তিলকও তাঁদের ইনিংস গড়েছেন ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু সেই স্কোর বোর্ডের উত্তাপ টিকল না শ্রেয়সদের সামনে।

প্রথমে ইডেন গার্ডেন্সে কোয়ালিফায়ার ২ আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনায় আইপিএল এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। পরবর্তী সূচিতে কোয়ালিফায়ার ২ এবং ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হয় আহমেদাবাদে। তবু বৃষ্টি রেহাই দেয়নি। কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে।

গত মরশুমে কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শ্রেয়স। এবার তিনি একই স্বপ্ন নিয়ে পঞ্জাবকে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন। একের পর এক বিপর্যয়ের মাঝে থেকেও তিনি তাঁর ব্যাট ও নেতৃত্ব গুণে দলকে ধরে রেখেছেন।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ইতিমধ্যেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। বিরাট কোহলি, ফিল সল্ট,  লিয়াম লিভিংস্টোন দের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারদের পাশাপাশি রয়েছেন জশ হেজেলউড, ক্রুনাল পান্ডিয়া ও সুয়শ শর্মার মতো শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপ। অন্যদিকে, পঞ্জাবের হাতে রয়েছে তরুণ প্রতিভা ও অভিজ্ঞতার এক মিশেল।

এই ম্যাচ শুধু একটি ফাইনাল নয়— এটি দুটি দল, দুই নেতৃত্ব ও দুটি ভিন্ন ধরণের ক্রিকেট দর্শনের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একদিকে পাঞ্জাবের স্বপ্ন, যারা কখনও শিরোপা জেতেনি। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু, যাদের হাতছাড়া হয়েছে বহু সুযোগ, কিন্তু এখনও সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি অধরা। ৩ জুন বিশ্বজুড়ে চোখ থাকবে আহমেদাবাদের দিকে। ক্রিকেটভক্তরা অপেক্ষা করছেন, কে হাসবেন শেষ হাসি— শ্রেয়স নাকি কোহলি?



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন