সমকালীন প্রতিবেদন : বিরাটের স্বপ্নপূরণ। ১৭ বছরের অপেক্ষা শেষ। অবশেষে ট্রফি উঠল বেঙ্গালুরুর ঘরে। আইপিএল-এর সাবালক হাপিয়ে ওঠার মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এল বিরাটের সেই কাঙ্খিত সাফল্য। তবে আরসিবিকে ট্রফি এনে দেওয়ার নেপথ্যে তরুণ রজত পতিদারের অবদানও ভোলার মতো নয়।
সব মিলিয়ে মঙ্গলের সন্ধ্যায় বিরাটের নামেই উঠল জয়ধ্বনি। একদিনের বিশ্বকাপ, টি-২০ বিশ্বকাপ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ- সব জিতলেও আইপিএল ট্রফি এতদিন অধরাই ছিল তাঁর নামের পাশে। আজ থেকে সেটাই জুড়ে গেল কোহলির রেকর্ডখচিত কেরিয়ারে। মঙ্গলবার ফাইনালের আগে যেভাবে মুখে হাসি নিয়ে টসে জিতলেন শ্রেয়স আইয়ার, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন ফাইনালের চাপ সামলানোটা শ্রেয়সের জানা আছে।
সেই সঙ্গে ডাগ-আউটে পন্টিংয়ের অভিজ্ঞতা। সেখানে তরুণ রজত পতিদারকে স্নায়ুর চাপে কিছুটা ম্লানই লাগছিল। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসলেন সেই রজতই। ১৭ বছর পর এমন একটা দলকে ট্রফি এনে দিলেন, যে দলে খেলে গিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে, এবি ডিভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মতো কিংবদন্তিরা।
এদিনের ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপ সামলে ইনিংস চালিয়েছেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। কোহলির ৪৩, লিভিংস্টোনের ২৫, পতিদারের ২৬, জিতেশের ২৪ রানের ছোট ছোট ইনিংসের মাধ্যমে স্কোরবোর্ডে ১৯০ রান তোলে আরসিবি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ভালো ব্যাটিং করেন প্রিয়াংশ এবং প্রভসিমরণ, তাঁরা দুজনে ২৪ এবং ২৬ করেন। ইংলিশের ব্যাট থেকে আসে ৩৯।
শ্রেয়স আইয়ার এদিন রান না পেলেও শেষদিকে শশাঙ্ক সিংয়ের অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস দেখলে বোঝা যায়, লড়াই ছাড়েনি পঞ্জাব। কিন্তু ট্রফি তখনও ৬ রান দূর। শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত ২০ ওভার। সাত উইকেটে ১৮৪ রানে থেমে যায় পঞ্জাবের ইনিংস। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় শ্রেয়সের লাগাতার দ্বিতীয় আইপিএল ট্রফি জয়ের স্বপ্নও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন