Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

গোপালনগরে ভোররাতে স্কুলে আগুন, একাধিক নথি পুড়ে ছাই

 

Fire-at-school

সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অন্তর্গত মামুদপুর এলাকায় অবস্থিত অম্বিকাপুর আলতাফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়-এ রবিবার ভোররাতে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর অগ্নিকাণ্ড। স্থানীয়রা ভোররাতে বিদ্যালয় চত্বরের ভিতর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে তৎপর হন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন স্কুলের নাইটগার্ডকে। সেই সঙ্গে নিজ উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাতে থাকেন তারা।

স্থানীয়দের প্রচেষ্টার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় খবর দেওয়া হয় বনগাঁ দমকল কেন্দ্রকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে ততক্ষণে বিদ্যালয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


বিশেষ করে শিক্ষক কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ঘরে রাখা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও একটি সিসিটিভি কন্ট্রোল ইউনিট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিদ্যুতের তার থেকে প্রথমে ধোঁয়া এবং পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এব্যাপারে বলেন, “ভোরবেলা স্থানীয়রা যদি তৎপরতা না দেখাতেন, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ হতে পারত। দমকলের পাশাপাশি স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানাই।”

স্কুলের এক শিক্ষক জানান, “কত বছরের জমে থাকা পরীক্ষার খাতা, শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের তথ্য, প্রশাসনিক কাগজপত্র সবই পুড়ে গেছে। এখন নতুন করে সব কিছু শুরু করতে হবে।”

এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এখনো পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা না হলেও, গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।

বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “বিদ্যালয়ের ভিতরে পুরনো বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে শর্ট সার্কিটের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”


এই ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।এই ঘটনায় একদিকে যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তেমনি আবার বিদ্যুৎ সংযোগ এবং অগ্নি-নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে এই ঘটনা। প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন