Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ইংল্যান্ডের মাটি কাঁপাবেন ভারতীয় তরুণরা

 

County-Championship

সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল শেষ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় দলের ম্যাচ থাকলেও, ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুম শুরু হতে এখনও খানিকটা সময় বাকি। ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি এমন এক ক্রিকেটার এই বিরতিতে ইতিমধ্যেই এক কাউন্টি দলের হয়ে সই করে ফেলেছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন আরেক ক্রিকেটার। তিনি তিলক বর্মা। 

হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, তিলককে দলে নিতে আগ্রহী কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের দল হ্যাম্পশায়ার। এইচসিএ-র তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, 'হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, হায়দ্রাবাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তিলক বর্মাকে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আশাবাদী তিনি হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ভাল খেলবেন এবং তাঁর জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।'

তিলক জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ২৫টি টি-টোয়েন্টি এবং চারটি ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তিনি যথাক্রমে দুই ফর্ম্যাটে ৭৪৯ ও ৬৮ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১৮ ম্যাচে ১২০৪ রান করেছেন, সর্বাধিক ১২১। পাঁচ শতরান ও চারটি অর্ধশতরানসহ ৫০-র অধিক গড় কিন্তু তিলকের দক্ষতারই পরিচয়বাহক। 

এখনও পর্যন্ত তিলক ভারতের জার্সিতে কেবল সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললেও, অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন ২২ বছর বয়সি তারকার মধ্যে ভারতের হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই খেলার দক্ষতা রয়েছে। ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা তাঁর লাল বলের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করাই যায়। 

এর আগে গতকাল আরেক কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ার রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে সই করার কথা ঘোষণা করে। ২৮ বছর বয়সি ব্যাটার জুলাইয়ে সারের বিরুদ্ধে ইয়র্কশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তিনি ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টেও হোয়াইট রোজের হয়ে খেলবেন। মরশুম শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ইংল্যান্ডের এই বিখ্যাত কাউন্টির হয়েই খেলতে দেখা যাবে। 

নতুন অভিজ্ঞতার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রুতুরাজ নিজেও। তিনি এক বিবৃতিতে ইয়র্কশায়ারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, 'ইংল্যান্ডের ঘরোয় মরশুমের বাকি সময়ের জন্য ইয়র্কশায়ারে যোগ দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। এই দেশে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা পাওয়াটা সবসময়ই আমার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। আর তার জন্য ইংল্যান্ডে ইয়র্কশায়ারের থেকে বড় ক্লাব তো হতে পারে না। মরশুমের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই সেরাটা দেওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি।'




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন