সমকালীন প্রতিবেদন : বর্ষাই কাল হল না তো? বন্যায় ভাসার আশঙ্কা? ১৬ বছরে যা ঘটেনি, এবার ঠিক সেটাই ঘটে গেল। সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে গেছে দেশে। প্রচুর বৃষ্টির পূর্বাভাস। লক্ষ্মীলাভ কৃষকদের? নাকি বড়সড় বিপদের সম্ভাবনা? ঠিক কি ঘটতে চলেছে? বর্ষা আগেভাগে ঢোকার কারণে কিসে কিসে এফেক্ট পড়বে? বিস্তারিত থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
সারা বছরের খাদ্যের নির্ভরতার বেশিরভাগটাই পূরণ করে এই মরসুম। ফলে সেই বর্ষা ভারতের একেবারে দক্ষিণের রাজ্য কেরলে এবার সময়ের ৮ দিন আগে ঢুকে পড়েছে। আর ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়বে দেশজুড়ে। যার কারণে এবার ভালো বর্ষার লক্ষণ দেখছেন আবহবিদরা। ফলে চাষীরা বলছেন, ভালো ফলন হবে। শস্য পূর্ণ হবে দেশ। শুধুই কি তাই?
এই যে দেশের জলবায়ুর ১৬ বছরের ইতিহাসে নির্ধারিত সময়ের এত আগে দেশে প্রবেশ করল বর্ষা। তাই এবারের বর্ষা নিয়ে প্রচুর আশাবাদী কৃষকরা। কারণ, বৃষ্টি ভালো হলে জলাধারগুলোতে জল সঞ্চয় বাড়বে। কারণ, জলাধার পূরণের ৭০ শতাংশ জল আসে এই বর্ষা থেকেই। তাতে শীতকালেও সেচের কাজে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। ফলে খাদ্যের ঘাটতি আর দাম দুটোই কমবে। যার ফলে কমবে মুদ্রাস্ফীতিও। বাড়বে রফতানি।
কৃষকরা তো ইতিমধ্যেই চাষের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। বর্ষার চাষের জন্য চলছে লাঙল দেওয়ার তোড়জোর। আর ঠিক এখানেই যে প্রশ্নটা উঠছে, রাজ্যে বর্ষার আগমন তবে কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? হ্যাঁ, লেটেস্ট আপডেট বলছে, দু এক দিনের মধ্যে বঙ্গে ঢুকতে পারে মৌসুমি বায়ু। আগামী দু এক দিনের মধ্যেই বর্ষা রানীর উত্তরবঙ্গে প্রবেশের প্রবল চান্স আছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে খুশি গ্রাম থেকে শহর, সব জায়গার মানুষ। কারণ, তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পাওয়াটাও তো বড় ফ্যাক্টর। ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। তবে কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে ভারী বর্ষার সতর্কতাও দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। এখানে জানিয়ে রাখা দরকার, বন্যার জন্যেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধারণত ১ জুন কেরলেই প্রথম বর্ষা প্রবেশ করে। আবহাওয়াবিদদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালের পর এই প্রথম এত তাড়াতাড়ি বর্ষা প্রবেশ করছে। যাতে হাওয়া অফিস পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এবার গড় বৃষ্টির চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন