সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁর মাদ্রাসায় হামলাকারী যুবক এতটা বেপরোয়া, হিংসাত্মক হয়ে উঠলো কেন? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ যা জানতে পারলো, তাতে চমকে উঠেছেন পুলিশের কর্তারাই।
জানা গেছে, বর্ধমানের মেমারিতে বুধবার সকালে বাবা মাকে খুন করে পালানো হুমায়ুন কবির নামের এক যুবক আশ্রয় নিয়েছিল বনগাঁর মতিগঞ্জের মাদ্রাসায়। আর সে-ই এদিন সন্ধ্যেয় এই মাদ্রাসায় আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আচমকা এক আততায়ী এইভাবে মাদ্রাসার আবাসিকদের উপর হামলা চালাতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মাদ্রাসার আবাসিকেরা।এই হামলার ঘটনায় মাদ্রাসার দুই শিক্ষকসহ মোট চারজন জখম হন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় হুমায়ুন কবির নামের ওই যুবককে। হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হয় এবং তারপর ওই যুবককে নিজেদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে একদল উত্তেজিত জনতা বুধবার রাতে বনগাঁ থানায় হামলা, ভাঙচুর চালায়।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এরপর লাঠি চালাতে বাধ্য হয়। পুলিশ-জনতার খন্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন হামলাকারীকে।
এই ঘটনার জেরে বনগাঁ শহরের একাংশে অঘোষিত বনধ শুরু হয়ে যায়। পরে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা হুমায়ুন কবির তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল। আর তারই জেরে বুধবার সকালে সে নিজের বাবা মাকে খুন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে সে আশ্রয় নেয় বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকার এই মাদ্রাসায়। যদিও তখনও তার এই কৃতকর্মের কথা মাদ্রাসার আবাসিকদের কেউ জানতে পারেননি। এদিন সন্ধ্যাতেই সে আবার এই মাদ্রাসার আবাসিকদের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা তাকে ছিনিয়ে নিতে বনগাঁ থানায় হামলা চালায়। মাদ্রাসায় হামলাকারী ধৃত হুমায়ুন কবির এবং বনগাঁ থানায় ভাঙচুর চালানো ঘটনায় ধৃতদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। হুমায়ুন কবির কেন বনগাঁর মাদ্রাসায় হামলা চালালো, তা জানতে হুমায়ুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন