Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

‌বনগাঁয় ‌প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানতেই প্রেমিকের বাড়িতে হামলা প্রেমিকার

Attack-on-lover-house

সমকালীন প্রতিবেদন : চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ইতি টানতেই জীবন হুমকির মুখে! বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায় এক যুবকের উপর চরম আক্রোশে চড়াও হল তাঁরই এক প্রতিবেশী প্রেমিকা। যুবকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, মারধর করা, এমনকি তাঁর ভাইপোকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা – এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে। এলাকাজুড়ে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহিলার নাম মন্দিরা হালদার। অভিযোগ, প্রতিবেশী পুলক সরদার নামের এক যুবকের সঙ্গে তার চার বছরের এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ সময় সম্পর্ক চালালেও সম্প্রতি পুলক সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চাইলে মন্দিরা হালদার রাগে ফেটে পড়ে। আর সেখান থেকেই একের পর এক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

পুলক সরদারের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথমে পুলককে একাধিকবার শারীরিকভাবে হেনস্তা করে মন্দিরা। এরপর রবিবার রাতে, যখন গোটা পরিবার ঘুমিয়ে পড়ে – সেই সুযোগেই চুপি চুপি পুলকের বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। একই সঙ্গে বাড়ির রান্নায় বিষ মিশিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনায় পুলকের ভাইপো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পোড়া গন্ধ পেয়ে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা তখন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ও পুলককে মারধরের হাত থেকে বাঁচান। উত্তেজিত জনতা মন্দিরা হালদারকে ধরে ফেলেন এবং বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। জখম পুলক সরদারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর সোমবার সকালে তিনি থানায় হাজির হয়ে মন্দিরা হালদারের বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বনগাঁ থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, 'অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ ‌করা হবে।'

একদিকে প্রেম, অপরদিকে প্রতিশোধ — এমন সম্পর্কের পরিণতি দেখে হতবাক সভাইপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরা হালদার ও পুলক সরদারের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল এলাকায়। তবে এই ঘটনা এতোটা ভয়ানক রূপ নিতে পারে, তা কেউ কল্পনাও করেননি।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, 'এমন ঘটনায় গোটা এলাকাই আতঙ্কিত। আমরা চাই, পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।'‌ ‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন