Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

গোপালনগরে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য

 ‌

Unnatural-death-of-bride

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌শ্বশুরবাড়িতে এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘরের ভেতর থেকেই ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওই বধূরে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে পরে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনার সময় গোপালনগর থানার অম্বিকাপুর গ্রামের যুবক, পেশায় সবজি ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গে বিয়ে হয় নদীয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা শ্যামলী পালের। বিয়ে পর সন্তান না আসায় ওই বধূর উপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ।

মৃত বধুর দাদার অভিযোগ, ছোটবেলাতেই আমাদের বাবা–মা মারা যান। তারপর থেকে বোনকে আমরা বড় করে তুলি। বিয়েও দিই। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অমানবিক আচরণ করতো বোনের সঙ্গে। অসুস্থ হলে বোনকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেত না। বাপের বাড়িতেও যেতে দিত না। 

মৃত বধুর বৌদি এবং এক দিদি জানান, এদিন তাদের মেয়ের মৃতদেহ মর্গে পৌঁছানোর পর তাঁর মৃত্যুর খবর বাপেরবাড়ির লোকেদেরকে জানানো হয়। শ্যামলীর উপর নিয়মিত অত্যাচার করা হতো। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁদের সন্দেহ, তাঁদের মেয়েকে মেরে ফেলে পরে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে বোনের শ্বশুরবাড়ির এলাকার অন্যদের মারফত বোনের মৃত্যুর খবর পান শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা। এরপরেই তাঁরা গোপালনগরে ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বোনের দেহ মর্গে রযেছে। আর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা থানায় হাজির হয়েছে। 

মৃত শ্যামলীর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চরম শাস্তির দাবি করে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা।‌ বধূর মৃত্যুর আসল কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন