Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫

লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি বনগাঁর সাইকেল মিস্ত্রি

 ‌

Millionaire-by-buying-lottery-tickets

সমকালীন প্রতিবেদন : কথায় আছে, ভাগ্যের চাকা কখন কার ঘুরে যায়, কেউ বলতে পারে না। তেমনি সাইকেলের চাকা সারতে সারতে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল বনগাঁর বাসিন্দা, পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি বাবলা দাসের। রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন লটারির টিকিট কেটে। এই ঘটনা ফের হইচই ফেলে দিয়েছে বনগাঁর লটারির জগতে।

দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনির পর অনেক কষ্টে মেলে দুমুঠো খাবার। মাঝেমধ্যেই সেই টানাটানির সংসার থেকে টাকা বাঁচিয়ে সুদিনের আশায় টিকিট কাটতেন বনগাঁর দীনবন্ধুনগরের বাসিন্দা বাবলা দাস। দীর্ঘ কুড়ি বছরের আশায় সত্যিই সত্যিই খুলে দিল ভাগ্যের দরজা। এক সাইকেল মিস্ত্রি হয়ে গেলেন কোটিপতি। মাত্র ৩০ টাকার লটারি কেটে পেয়ে গেলেন এক কোটির পুরস্কার। 

সোমবার সন্ধ্যায় বাবলা দাস কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তখনও জানতেন না, এটাই বদলে দিতে চলেছে তাঁদের জীবন। স্থানীয় লটারির দোকান থেকে ইভিনিং এর কাটা ৩০ টাকার লটারি টিকিটটি সন্ধ্যার রেজাল্ট মিলাতেই জানতে পারেন তাঁর কাটা টিকিটেই বেধেছে জ্যাকপট। দেখা যায় এক কোটি টাকার পুরস্কারটিই উঠেছে তাঁর কপালে। 

প্রথম দিকে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি তাঁর কাটা টিকিটে ১কোটি টাকার পুরস্কার উঠেছে। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে খবর। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আত্মীয় পরিজনেরা। স্ত্রীকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। টাকার অভাবে কোনরকমে একে একে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার এই টাকায় শেষ বয়সটা একটু নিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ ও তার স্ত্রী।

সাইকেল মিস্ত্রি বাবলা দাসের স্ত্রী উমা দাস জানান, লটারির টাকা পেলেই আগে বাড়িতে থাকা মা মনসার মন্দিরে টিনের চালা সরিয়ে ছাদ দেবেন। আজ মায়ের জন্যই এই প্রাপ্তি হয়েছে।‌ অকপটে স্বীকার করলেন, লটারির টিকিট কাটতো বলে স্বামীকে বকাবকিও করতেন। কিন্তু সেই লটারির টিকিটই যে শেষপর্যন্ত এভাবে ভাগ্য বদলে দেবে, তা ভাবতেও পারছেন না।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন