সমকালীন প্রতিবেদন : গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দলীপ ট্রফি। এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-এ এবং ভারত-বি। আর এই ম্যাচের প্রথম দিনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকারা মাঠে নেমেছিলেন। ওপেনার যশস্বী জসওয়াল, ঋষভ পন্ত, সরফরাজ খান এবং ওয়াশিংটন সুন্দররা এদিনের ম্যাচে খেলেন।
আর এইসব তারকাদের সামনেই শচীন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ ব্যাটসম্যান। এই ব্যাটসম্যান আর কেউ নন, সরফরাজ খানের ছোট ভাই মুশির খান। দলীপ ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত কীর্তি করলেন তিনি।
প্রথম দিনের খেলা শেষে, মুশির খান ২২৭ বলে অপরাজিত ১০৫ রান করার পর ফিরে আসেন। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে, মুশির আবার ইনিংসের দায়িত্ব নেন এবং নবদীপ সাইনির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ২০৪ রানের একটি দুর্দান্ত জুটি গড়েন।
এদিকে, মুশিরের স্কোর দেড়শো ছাড়িয়ে যায়। তবে শেষমেষ কুলদীপ যাদব তাঁকে আউট করেন। এতে হয়তো অভিষেক ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি করার দোরগোড়ায় আটকে যান মুশির। তবে এই ম্যাচে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
মুশির খান তাঁর দলীপ ট্রফির অভিষেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কিন্তু তিনি তাঁর ১৮১ রানের ইনিংস দিয়ে শচিন তেন্ডুলকরের ৩৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। মুশির ৩৭৩ বলে ১৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মেরে দলীপ ট্রফির অভিষেক ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেন।
এর আগে এই রেকর্ডটি শচীন তেন্ডুলকরের নামে ছিল। শচিন ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে তাঁর দলীপ ট্রফির অভিষেক ম্যাচে ১৫৯ রান করেছিলেন। এখন শচিন তেন্ডুলকরকে চতুর্থ স্থানে ঠেলে দিয়েছেন মুশির খান।
উল্লেখ্য, দলীপ ট্রফির অভিষেক ম্যাচে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলার রেকর্ড বাবা অপরাজিতের নামে রয়েছে। বাবা অপরাজিত ২১২ রান করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যশ ধুল। দলীপ ট্রফির অভিষেক ম্যাচেই তিনি ১৯৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
এই দুই খেলোয়াড়ের পর এবার এই বিশেষ তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা নিশ্চিত করেছেন সরফরাজ খানের ছোট ভাই মুশির খান। হয়তো আগামী দিনে তিনিই হবেন ভারতের সুপারস্টার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন