সমকালীন প্রতিবেদন : জমির রেজিস্ট্রেশন জাল সার্টিফিকেট দাখিল করা হলো। আর সেই জাল সার্টিফিকেট পায়ার ব্যবস্থা করেছে এলাকার একজন বিজেপি নেতা। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁর গাঁড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এবং তার এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে গাঁড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে জমির রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে সার্টিফিকেট যাচাই করতে আসেন একজন রেভিনিউ ইন্সপেক্টর। পঞ্চায়েতের প্রধান দুলাল চন্দ্র মাঝির সঙ্গে তিনি এব্যাপারে কথা বলে পঞ্চায়েতের রেকর্ড ঘেটে দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন, ওই মেমো নম্বরে কোনও ওয়ারিশন সার্টিফিকেট ইস্যুই হয় নি।
এমন ঘটনায় চমকে যান পঞ্চায়েত প্রধান এবং সরকারি আধিকারিক। তাঁরা বুঝতে পারেন যে, পঞ্চায়েত প্রধানের জাল লেটারহেড বানিয়ে, তাঁর সই জাল করে নকল ওয়ারিশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
আর এব্যাপারে খোঁজখবর করে তাঁরা জানতে পারেন যে, গাঁড়াপোতার কুন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা, বিজেপির মন্ডল কনভেনর তন্ময় সরকার এই কান্ড ঘটিয়েছে, এমনই অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল চন্দ্র মাঝির।
এরপর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বৈঠক করে তন্ময়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। সেইমতো তার বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েত প্রধান। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তন্ময় সরকার এবং বাগদার বাসিন্দা তার ভগ্নিপতি প্রলয় হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এব্যাপারে অবশ্য বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল তন্ময় সরকারকে তার দলের কেউ নয় বলে দাবি করে বলেন, 'ওই নামে বিজেপির কোনও নেতা নেই। মাস কয়েক আগে এই তন্ময় সরকার তৃণমূল প্রার্থীকে সহযোগিতা করতে আপেল চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন