সমকালীন প্রতিবেদন : সপ্তমে রয়েছে আলুর দাম। রাজ্য সরকারের একাধিক নির্দেশিকাতে জেরবার আলু ব্যবসায়ীরা। তার উপর আবার ভিনরাজ্যে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে আলুর। সবমিলিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। এবার এই সব কিছুর প্রতিবাদ করেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ী সমিতি। যার জেরে আবারও রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী হতে চলেছে আলুর দাম। চিন্তায় সাধারণ মানুষ।
বেশ কিছু দিন ধরে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সাফ নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যের আলুর চাহিদা পূরণ এবং দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এমনকি ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ করার জন্য, কড়া নজর রাখতে বিভিন্ন সীমানায় কড়া পাহারাও বসানো হয়েছে।
এই বিষয়েই ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবী, এইভাবে একদিকে দাম কমানোর সমস্যা এবং অন্যদিকে আলু রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন তাঁরা। তাই এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
বাঁকুড়ার জয়পুরের এক বেসরকারি হোটেলে বৈঠক করার পর, আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার জানিয়েছেন, 'রাজ্য সরকার আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করায় আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এমনিতেই এবারে আলু চাষের সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে, অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপর আবার দ্বিতীয়বার চাষ করার সময় উৎপাদনও কম হয়েছে। এদিকে হিমঘরে যে প্রতি কুইন্টাল আলু ২৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তা বাজারে ৩৫ টাকা কেজি প্রতি কিভাবে হয়ে যাচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখা উচিত সরকারের।'
এই বিষয়ে সিঙ্গুর-রতনপুর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক প্রহ্লাদ মণ্ডল জানান, 'প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতিকে আমরা সম্মান করি। তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা বাজার খোলা রাখছি। নাহলে আলুর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে। তবে সরকারের এখন কর্তব্য এই সমস্যার মধ্যস্থতা করে একটা সমাধান পথ বের করা। সেইসঙ্গে আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা।'
আলু ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব অবশ্য এখনও দেখা যায় নি বনগাঁর বাজারগুলিতে। সেখানে পুরনো দামেই বিক্রি হচ্ছে পোখরাজ, জ্যোতি, চন্দ্রমুখি জাতের আলু। খুচরো আলু ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে আলু সরবরাহ আগের মতোই আছে। ফলে আলাদা করে দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন