সমকালীন প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে শনিবার থেকে গাইঘাটার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে শুরু হল এবছরের মতুয়া ধর্ম মহামেলা।
মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৩ তম জন্ম তিথি উপলক্ষে গত প্রায় ৭০ বছর ধরে এই ধর্মীয় মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। সমস্তরকম বিবাদ, বিভেদ সরিয়ে এই বছরও একইভাবে মহা ধুমধামের সঙ্গে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন ঠাকুরনগরে। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী হাতে ডঙ্কা, কাশর, নিশান নিয়ে, মুখে হরিবোল ধ্বনী দিতে দিতে শুক্রবার থেকেই মতুয়া ভক্তরা ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে হাজির হতে শুরু করেন। আসছেন মতুয়া ধর্মের গোসাই, পাগল, দলপতিরাও।
আজ সকালেই শুরু হয় স্নানযাত্রার বিশেষ ক্ষণ। রাত পর্যন্ত রয়েছে এই বিশেষ সময়। আর তাই এই সময়ের মধ্যে ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে ডুব দিয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূরণের আশায় ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্ত।
মতুয়া ভক্তদের বিশ্বাস এই জলে স্নান করলেই মেলে রোগ মুক্তি থেকে নানা সমস্যার সমাধান। উৎসবকে ঘিরে সেজে ওঠে গোটা এলাকা। ঠাকুরবাড়ির মন্দির পাশ্বস্থ মাঠেই সাত দিন ধরে চলবে মেলা। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর সহ বীনাপানি দেবী অর্থাৎ বড় মার মন্দিরে চলে ভক্তদের বিশেষ প্রার্থনা।
সাধারণ মতুয়া ভক্তদের পাশাপাশি কামনা সাগরে ডুব দেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তারপর কামনা সাগরে নামেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এদিন সাংবাদিকদের অবশ্য কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দিতে চান নি শান্তনু ঠাকুর।
বিশ্বজিৎ দাস প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'সিএএ নিয়ে কেন্দ্র সরকার মতুয়াদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা এখনও নি:শর্ত নাগরিকত্ব দাবি করছি। তা না হলে নাগরিকত্বের জন্য কাউকে আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানিয়ে দিয়েছেন।'











কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন