Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

মিথেন ইঞ্জিনের রকেটে মানুষ পাঠিয়ে চাঁদের মাটিতে চালানো হবে অনুসন্ধান

 

Methane-engine

সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং করানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সেখানকার মাটি ছুঁয়েছে ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম। ২০২৩ সালেই এসেছে এই চূড়ান্ত সাফল্য। 

তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না তারা। এবার চাঁদে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। 

একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গগনযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

বর্তমান পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার চার পাইলটকে মহাকাশচারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে চাঁদে পাঠানোর জন্য মহাকাশচারীদের।

তবে চাঁদে মানুষকে পাঠাতে প্রথমেই দরকার একটি শক্তিশালী-ভারী মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের। চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রধান কাণ্ডারী ছিল এলএমভি-থ্রি রকেট। কিন্তু ২০৪০-এর চাঁদে মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে হলে দরকার আরও ওজন বহনের ক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশযানের। 

সেই সঙ্গে দরকার সেমি ক্রায়োজেনিক এবং ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনগুলির একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংমিশ্রণ। তবে এক্ষেত্রে ইসরোর ভবিষ্যতের তাস হতে পারে মহাকাশযানের এলওএক্স-মিথেন ইঞ্জিন। 

ইসরো প্রধানের মতে, মহাকাশ জ্বালানি হিসেবে মিথেন শক্তিশালী। মহাকাশে জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করেও মিথেন সংশ্লেষ হতে পারে। এলওএক্স প্রকল্প সফল হলে মঙ্গলের মতো সুদূর গ্রহে যান পাঠিয়ে সেখানকার পরিবেশ জানার পথ সহজ হবে। 

অবশ্য শুধু মঙ্গল নয়, শুক্রের কক্ষপথে পৌঁছনোর তোড়জোড়ও শুরু করেছে ইসরো। তাই মহাকাশ এবার আসছে ভারতের মুঠোয়। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন