সমকালীন প্রতিবেদন : মাসখানেক আগে একটি বেসরকারি ফাইনান্স কোম্পানীর নাম করে মোবাইলে ফোন করে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বনগাঁর রিম্পা সরকার নামে এক যুবতীকে। কিন্তু তখন ঘুণাক্ষরেও রিম্পা টের পান নি যে এটা কোনও প্রতারকদের ফোন। আর তাদের টোপে পা দিয়ে সাড়ে ৯ হাজার টাকা খোয়া যায় রিম্পার।
একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রলোভন দেখিয়েছিল প্রতারকরা। তবে তারা যে প্রতারকচক্র, তা বুঝতে পারেন নি তুহিন কুন্ডু নামে বনগাঁর এক যুবক। তাই তাদের কথায় ভরসা করে ধাপে ধাপে ১৩ হাজার টাকা অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারকদের পেমেন্ট করেন তুহিন। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
এইভাবেই আরও কয়েকজন এই প্রতারকদের প্রতারণার শিকার হন। তাঁদের কাউকে প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা প্রকল্পে গ্যাসের সংযোগ পাইয়ে দেওয়া, কাউকে আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
প্রতারিতরা এরপর বিভিন্ন সময়ে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানা তাঁদের খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এইভাবে মোট ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়।
সোমবার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পক্ষ থেকে সাইবার প্রতারিত ৬ জনের হাতে চেকের মাধ্যমে তাঁদের খোয়া যাওয়া অর্থ তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি দীপেন তামাং, আইসি সুদীপ্ত দে সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।
এব্যাপারে ডিএসপি দীপেন তামাং সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বলেন যে, হোয়াটস অ্যাপে যদি সন্দেহজনক কোনও লিঙ্ক আসে, তাহলে সেগুলিতে ক্লিক করা, ওটিপি শেয়ার করা, অচেনা মানুষদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই অনলাইন প্রতারণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন