Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩

পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী

 

Panchayat-elections-will-not-be-peaceful

সমকালীন প্রতিবেদন : 'সারদা মামলায় সবথেকে বড় বেনিফিসিয়ারি মমতা ব্যানার্জী। মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে ১০ বছরে চার্জশিট হ‌য় নি কেন ? সারদা মামলায় মমতা ব্যানার্জীকে কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে ? কয়লার টাকা ঢুকেছে ওই পরিবারের বধূর অ্যাকাউন্টে।'‌ এমনই একাধিক বিষ্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সী ইডির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ওগড়ালেন শুভেন্দু। তিনি মনে করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে নির্দেশ জারি করেছে, তাতে অবশ্য খুশি শুভেন্দু অধিকারী।

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে আসেন শুভেন্দু। বাড়িতে প্রবেশের মুখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, গত ১২ বছরে রাজ্য সরকার স্থায়ী পদে সরকারি কর্মী সেভাবে নিয়োগ করে নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলের লোকদের অথবা অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ দিয়েছে। 

আর এইসব কর্মীদেরকে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে আপত্তি তোলায় হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ফোর্থ পোলিং এর দায়িত্ব সামলাবে। প্রিসাইডিং থেকে থার্ড পোলিং এর দায়িত্বে থাকবেন স্থায়ী সরকারি কর্মীরা। 

অন্যদিকে, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। সিসি ক্যামেরা, ভিডিওগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে ঢুকে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর, বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, অসীম সরকার, শঙ্কুদেব পন্ডা প্রমুখ।

এদিন পরে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যের ৫০ টি ব্লকের ২০ হাজার আসনে মনোনয়নপ্ত্র জমা দিতে পারছেন না বিরোধী দলের প্রার্থীরা। আধার কার্ড সহ দলের লোকদের নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে লাইন দেওয়া হবে বলেও জানান শুভেন্দু।

বৈঠক শেষে রবিবারের ঘটনায় আহত কয়েকজন মতুয়াভক্তকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী। শান্তনু ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে তাঁরা ঠাকুরবাড়ির একটি অংশে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। তাদের হাতে কিছু সাহায্যও তুলে দেন শুভেন্দু এবং বলেন তৃণমূল থাকলে তাদেরকে আবারও দেশছাড়া হতে হবে।

অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, রবিবার তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা ঠাকুরবাড়িতে যে কান্ড ঘটিয়েছে, তা তাদের বুমেরাং হয়েছে। মতুয়া সমাজ ক্ষুব্ধ। গোটা বিষয়টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন