Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

বাগদায় স্কুলের জলের কল বসাতে গড়মিল, আটক শ্রমিকেরা

 

Garmil-to-install-school-water-tap

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। কম পাইপ দিয়ে এই কল বসানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। 

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ‌সংলগ্ন এলাকায় সরকারি উদ্যোগে একটি গভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন মেলে। বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এই কল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং স্থানীয়দের দাবি, ২৫ টি পাইপ দিয়ে গভির নলকূপটি বসানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৫ টি পাইপ বসিয়ে হঠাৎ করে কাজ শেষ করে দিচ্ছিল শ্রমিকেরা। গ্রামের মানুষেরা জিজ্ঞাসা করলে প্রাথমিকভাবে শ্রমিকরা জানায়, ২৪ টি পাইপ বসানো হয়েছে।

কিন্তু তাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নি গ্রামবাসীদের। এরপর শ্রমিকদের আটকে রেখে চেপে ধরতেই শ্রমিকেরা স্বীকার করে যে ফিল্টার সহ মোট ১৬টি পাইপ বসানো হয়েছে।  সঠিক কাজের দাবীতে এরপর শ্রমিকদের আটকে রেখে ঠিকাদারকে খবর দেওয়া হয়।

কল বসানোর ক্ষেত্রে যে অনিয়ম করা হয়েছে, তা স্বীকার করে নেন বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জাকির হোসেন মন্ডল। তিনি বলেন, অনুমোদন অনুযায়ী কলের পাইপ না বসানোয় গ্রামের মানুষেরাই এই অনিয়ম ধরেছেন। এখন প্রশাসন এব্যাপারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গরমকাল এলেই এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই কারণেই এর আগে এলাকায় বেশ কয়েকটি কল বসানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কল থেকেই সেভাবে জল পাওয়া যায় না। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, ওই কলগুলির ক্ষেত্রেও সঠিকভাবে পাইপ বসানো হয় নি।

এদিনের ঘটনা সম্পর্কে আটক শ্রমিকেরা জানান, ১৫ টি পাইপ বসানোর পর মাটির লেয়ার পাওয়া যাওয়ায় ঠিকাদারের কথা অনুযায়ী আর পাইপ না বসিয়ে কল বসিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যদিও শ্রমিকদের এই যুক্তি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রেও কাটমানির বিষয় থাকতে পারে।

স্কুলের শিক্ষক কমল মিত্র জানালেন, প্রায় ৬ বছর ধরে স্কুলের কল দিয়ে জল পড়ে না। স্কুলের পক্ষ থেকে জল কিনে পড়ুয়াদের জল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে যাতে একটি গভীর নলকূপ বসানো যায়, তারজন্য বাগদা পঞ্চায়েত সমিতিতে আবেদন করা হয়েছিল। 

পঞ্চায়েত সমিতি স্কুলের সেই আবেদন অনুমোদনও করেছিল। এই কল বসানো হলে শুধু স্কুলের পড়ুয়ারাই নয়, গ্রামবাসীরাও উপকৃত হতেন। আর সেই কারণে এই কল নিয়ে আগ্রহ ছিল গ্রামবাসীদের। কিন্তু সেই কল বসাতে এসে এমন অনিয়ম করা হবে, তা ভাবতে পারেন নি গ্রামবাসীরা।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন