Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

হালখাতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত

 ‌

Historical-context-of-Halkhata

সমকালীন প্রতিবেদন : আজ বাংলা বছরের শেষ দিন 'চৈত্র সংক্রান্তি'‌। আর আগামীকাল নববর্ষ, ১ বৈশাখ। এই দিনটির সঙ্গে বাঙালির এক রাশ আবেগ জড়িয়ে আছে৷ পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন পাট ভাঙা সুতির জামা৷ পয়লা বৈশাখ মানেই দোকানে দোকানে নেমতন্ন৷ সবুজ-হলুদ রঙিন শরবত৷ মিষ্টির বাক্স৷ 

রজনীগন্ধার মালায় সাজানো দোকান৷ বৈশাখকে বরণ করে নেওয়ার দিন৷ পুরনোকে ফেলে শুরু নতুন বছর৷ নতুন বঙ্গাব্দ৷ এই নতুন বছরের সঙ্গে আরও একটি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে৷ তা হল হালখাতা৷ বাঙালির পয়লা বৈশাখের সঙ্গে হালখাতার সম্পর্ক অনেক দিনের৷ 

আর হালখাতা মানেই যেন নতুন লাল কাপড়ে জড়ানো নতুন খাতা, যা 'হালখাতা' নামে পরিচিত। ভাষাবিদেরা মনে করেন, ফারসি শব্দ 'হাল' এর অর্থ 'চলতি বছর' আর এখানে 'খাতা' অর্থ 'হিসাব'। কিন্তু প্রশ্ন– কেন সেই খাতা লাল রঙের ?

অনেকে বলবেন, লাল রঙ শুভ। লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করে লাল সিঁদুরের স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা দিয়েই তো লেখা শুরু হয় হালখাতার প্রথম পাতায়৷ ঐতিহাসিকদের অনেকেই দাবি করেন, মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বাদশাহকে খাজনা দেওয়ার সময় লাল শালু কাপড়ে বেঁধে দেওয়া হতো৷ 

সেখান থেকেই হিসেবের খাতার রঙ লাল হয়েছে৷ কিন্তু মুঘল ইতিহাসের সঙ্গে এই হিন্দু প্রথা সম্পৃক্ত নয় বলে ঐতিহাসিকদের অধিকাংশ মনে করেন। আবার একদল ইতিহাসবিদের দাবি, বাংলার হালখাতার প্রচলন শুরু হয় নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ – এর সময় থেকে। 

রাজস্ব আদায়ের জন্যই এই হালখাতার প্রচলন করেন তিনি। এছাড়া, বহু আগে থেকে বাংলায় এই বৈশাখের প্রথম দিনেই জমিদারদের খাজনা দেওয়ার রেওয়াজ ছিল৷ সেই হিসাব লেখা হতো লাল কাপড়ে মোড়া নতুন হাল খাতায়৷ এছাড়া, বহু আগে থেকে বাংলায় এই বৈশাখের প্রথম দিনেই জমিদারদের খাজনা দেওয়ার রেওয়াজ ছিল৷ 

সেই হিসাব লেখা হতো লাল কাপড়ে মোড়া নতুন খাতায়৷ এই সঙ্গেই যুক্ত হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতি। স্বস্তিক চিহ্ন সবসময় সিঁদুর দিয়ে আঁকা হয়। আর এই হাল খাতা স্বস্তিক চিহ্ন দিয়েই শুরু করা হয়। তাই খাতা মোড়া থাকে লাল শালুর কাপড়ে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন