সমকালীন প্রতিবেদন : স্ত্রীকে খুন করে খালের ধারে পুঁতে রেখেছিল স্বামী। অবশেষে পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হল সেই মৃতদেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানা এলাকায়।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে বছর আটেক আগেই স্বামীকে ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন অশোকনগর থানার ভাতশালা এলাকার মঞ্জিরা বিবি। তবে স্বামী জিয়াবুল হকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে রাখেন
সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য জিয়াবুল অনেকবার তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সেই চাপের কাছে মাথা নত করেন নি মঞ্জিরা। স্বাভাবিকভাবেই মঞ্জিরার প্রতি ক্ষোভ বাড়তে থাকে জিয়াবুলের।
এরপর শরীর খারাপের কথা বলে গত ২২ মার্চ মঞ্জিরাকে ডেকে নিয়ে যায় জিয়াবুল। স্বামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সেদিন বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফেরেন নি মঞ্জিরা। ছেলে বিভিন্ন আত্মীয়–পরিজনের বাড়িতে খোঁজ করে না পেয়ে থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন।
মঞ্জিরার ছেলে রওসন হক জানান, 'মায়ের খোঁজ করতে হাসপাতালে বাবার কাছে গিয়ে দেখি, সেখানে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে। আর তখন থেকেই আমার সন্দেহ হয়। সেকথা পুলিশকে জানাই। এরপরই পুলিশ এব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেন।'
রওসনের সন্দেহের উপর ভিত্তি করে পুলিশ এরপর জিয়াবুলকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার করে চাপ দিতেই সে আসল ঘটনা স্বীকার করে। সে জানায় যে, মঞ্জিরা অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় তাকে খুন করে বিদ্যাধরী খালের পাশে মাটিতে দেহ পুঁতে দিয়েছে।
এরপর সোমবার পুলিশ জিয়াবুলকে সঙ্গে নিয়ে তার দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ মঞ্জিরা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাবার এই অমানবিক কাজের জন্য ফাঁসির দাবি করেছেন ছেলে রওসন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন