Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩

স্কুলের গ্রুপ সি পদে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রাক্তন কাউন্সিলর

 

Ex-Councillor-in-the-list-of-cancellations

সমকালীন প্রতিবেদন : অনৈতিকভাবে স্কুলে ক্লার্কের চাকরি পাওয়ার তালিকায় এবারে নাম উঠে এলো উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের। তার নাম দোলন বিশ্বাস। তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে ৮১০ নম্বর সিরিয়ারে তার নাম রয়েছে।

প্রাথমিকের পর স্কুলের গ্রুপ সি পদেও যে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, তা দিন দিন আরও বেশি করে প্রকাশ পাচ্ছে। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই যে তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে দিন দিন দীর্ঘতর হচ্ছে এই অনিয়মের তালিকা। সেখানে সাধারণ চাকরিপ্রার্থী থেকে রাজনৈতিক ক্ষমতাধরদের নাম উঠে আসছে।

দিন দুই আগে অনিয়মের নিয়োগের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দোলন বিশ্বাসের ওএমআর সিট একপ্রকার সাদা। আর সেই ওএমআর সিটেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। অনৈতিকভাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে তার চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

যদিও এব্যাপারে দোলন বিশ্বাসের পরিবারের দাবি, দোলন পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো। নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে সে চাকরি পেয়েছে। কোনও অনিয়ম করে সে চাকরি পায় নি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সে অসুস্থ। ফলে এব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। 

দোলন বিশ্বাসের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বারাসত পুরসভার প্রধান অশনি মুখার্জি জানান, দোলন বিশ্বাস পুরসভার কোনও কর্মী নন। পুরসভার কর্মী হলে তার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া যেত। তবে তিনি এও জানান, হাইকোর্টে বিষয়টি বিচারাধিন। ফলে এব্যাপারে হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত জানাবে, তাই সবাইকে মেনে নিতে হবে।

এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে ছাড়ছে না বিজেপি। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র অভিযোগ করেন, নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দোলন বিশ্বাস এই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তার চাকরি পাওয়ার পেছনে কার হাত রয়েছে, তাকে খুঁজে বের করতে হবে।

উল্লেখ্য, কাউন্সিলর থাকাকালীনই বারাসত বিবেকানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে ক্লার্কের চাকরি পান দোলন বিশ্বাস। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিকভাবে তিনি এই চাকরি পাওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে আজ তার নাম অনিয়মের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই ঘটনায় বারাসতের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পরে গেছে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন