Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩

শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে পোস্ত খান

 ‌‌

Eat-poppy-seeds-regularly

সম্পদ দে : পোস্তর নাম শোনা মাত্রই বাঙালির মুখের কোনে এক আলাদাই হাসি চলে আসে। পোস্ত পছন্দ নয়, এমন একজন বাঙালি খুঁজে বের করাও প্রায় অসম্ভব। পোস্তর কথা উঠলেই মধ্যবিত্ত থেকে ধনী, প্রত্যেকের মনেই প্রথমে আসে আলু পোস্ত, পোস্ত চিংড়ি এবং ঝিঙে পোস্তর মতো এক একটি মুখে জল আনা খাবারের নাম।

তবে আজকাল পোস্তর দামের কথা ভেবে রোজ রোজ এই সমস্ত খাবারের কথা ভাবতে ভয় লাগে বটে। কিন্তু মাঝে মাঝে খাবারের পাতে পোস্ত কিন্তু সুস্থ রাখে শরীরকে। পোস্ত প্রত্যেকের পছন্দের হলেও আজকাল তার দাম মধ্যবিত্ত বাঙালির পকেটে ছেকা দিচ্ছে রীতিমতো। 

আসলে পোস্ত শুধুমাত্র খাবারের জন্যই ব্যবহৃত হয় না। পোস্ত থেকে তৈরি করা হয় নেশার দ্রব্যও। সেই জন্য পোস্ত চাষ নিয়ে আছে সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ। যে কেউ চাইলেই চাষ করতে পারবে না এটি। 

সেই জন্যই বাজারে চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম হওয়ায় দাম আকাশছোঁয়া বাঙালি পছন্দের এই পোস্তর। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজ রোজ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন পোস্তকে রাখার চেষ্টা করুন খাবারের পাতে। 

তবে কেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা চাপ দিচ্ছেন পোস্ত খাওয়ার উপর? আসুন জেনে নিই। পোস্ত যে শুধুমাত্র মুখের স্বাদ পরিবর্তন করে, তা ভাবলে সম্পূর্ণ ভুল ভাবা হবে। প্রচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারী উপাদানে ভরপুর আমার–আপনার সকলের পছন্দের পোস্ত।

পোস্ততে আছে ক্যালসিয়াম, তামা, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম ও জিংক-এর মতো বিভিন্ন জরুরী খনিজ। এছাড়াও আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

আমেরিকার এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের করা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম আস্ত পোস্তর দানায় থাকে ৫৩৬ ক্যালোরি এনার্জি, ২১.৪৩ গ্রাম প্রোটিন, ২৫ গ্রাম ফাইবার, ১২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং আরও অনেক খনিজ উপাদান। 

পোস্তয় থাকে শূন্য কোলেস্টেরল। তাই এটা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না ও হার্টকে সুস্থ রাখে। এবাদেও পোস্তয় আছে প্রচুর গুনাগুন। আসুন জেনে নিই তার মধ্যে থেকেই কয়েকটি।

১| পোস্ত অনিদ্রা দূর করে এবং স্বাভাবিক ঘুম নিয়ে আসে। ফলে যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পোস্ত আশীর্বাদের সমান।

২| মাঝে মাঝে খাবারের পাতে পোস্ত হার্টকে ভালো রাখে।

৩| পোস্ততে থাকা ফাইবার হজমের সহায়ক। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়।


৪| শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে পোস্ত যথেষ্ট সহায়ক।

৫| পোস্ত শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৬| মারণ রোগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও পোস্ত সাহায্য করে।

পোস্তর গুনাগুন আছে আরও অনেক। তবে তার মধ্যে থেকে মাত্র এই কয়েকটি জেনেই আমরা বুঝতে পেরেছি যে, পোস্তর মাহাত্ম্য আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটা। তাই পোস্তর দামের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে ১-২ দিন পোস্ত থাকতেই পারে আমার– আপনার দুপুর বা রাতের খাবারের পাতে।






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন