সমকালীন প্রতিবেদন : বড় মাছের হাত থেকে ছোট মাছকে রক্ষা করতে এক নতুন পদ্ধতি পেন কালচার। আর এই পদ্ধতির মাধ্যমে বড় জলাশয়কে ছোট ছোট আকারে তৈরি করে নিয়ে করা সম্ভব ছোট মাছের চাষ। একই জলাশয়ে একদিকে যেমন বেড়ে উঠবে ছোট মাছ। অন্যদিকে, চাষ করা সম্ভব হবে বড় মাছের।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় রয়েছে গাইঘাটা ব্লকে। এখানকার ডুমার বাওড়টি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার। চওড়ায় প্রায় ৫০০ মিটার। গভীরতা গড়ে ৪০ ফুট। আর এই জলাশয়টি এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই জলাশয়ের দুধারে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, যেখানে গ্রামের সংখ্যা ২০ টির বেশি। আর এই গ্রামগুলির অধিকাংশ মানুষই মৎস্যজীবী। তাদের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। আর এই মৎস্যজীবীদের পরিবারের দিন গুজরান হয় এই জলাশয়ে মাছ ধরে।
এখানকার মৎস্যজীবীদের অবশ্য বক্তব্য, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে এখানে মাছ চাষ করে তারা বর্তমানে সেভাবে লাভের মুখ দেখছেন না। উৎপাদন কমে আসছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মৎস্যজীবীরা মনে করছেন, একই জলাশয়ে বড় এবং ছোট মাছ থাকায় বড় মাছগুলি ছোট মাছদের খেয়ে ফেলছে।
এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে মৎস্য দপ্তর। মৎস্যজীবীদের উৎসাহিত করতে মাছ চাষের নতুন পদ্ধতি পেন কালচারের মাধ্যমে মাছ চাষ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংঞ্জাম এবং মাছের চারাও বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
মৎস্য দপ্তরের আশা, পেন কালচার পদ্ধতিতে ডুমার মতো বড় জলাশয়ে ছোট মাছের চাষ করে লাভবান হবেন এখানকার মৎস্যজীবীরা। বিনামূল্যে সরকারিভাবে সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে মৎস্য চাষে উৎসাহদানের ঘটনায় খুশি এলাকার মৎস্যজীবীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন