Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

‌পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে শান্তিপুরের রাস উৎসব

Raas-Festival-of-Shantipur

সমকালীন প্রতিবেদন : নদীয়ার শান্তিপুরের রাস উৎসব বহু প্রাচীন। এই উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। আর এবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শান্তিপুরের রাস উৎসব পর্যটন মানচিত্রে স্থান পেল। আগামী বছর থেকে এই উৎসবকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগ নেবে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর।

বুধবার নদীয়া জেলা সফরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির রাস উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তিপুরের বিখ্যাত তাঁতশিল্পী ধীরেন বসাকের হাতে তৈরি কারুকার্যে ভরা একটি বিশেষ শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।

উপহার পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীর এই নিখুঁত কাজ যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারেন, তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী এদিন দমদম আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর চত্বরে বিশ্ব বাংলার স্টলে এই শাড়িটি ডিসপ্লে করার জন্য জেলা শাসককে দায়িত্ব দেন।

এই প্রথম শান্তিপুরের রাস উৎসব দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানকার এই রাস উৎসব দেখে আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রী এদিনই সিদ্ধান্ত নেন, এই রাস উৎসবকে আরও জনপ্রিয়, আরও বড় মাপের করার জন্য আগামী বছর থেকে এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত করা হবে রাজ্য পর্যটন দপ্তরকে।

মুখ্যমন্ত্রী চান, বাঙালীর দুর্গাপুজো যেমন বিশ্বখ্যাত হয়েছে, সেভাবে বাংলার শান্তিপুরের এই রাস উৎসবও গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হোক। ‌রাজ্য পর্যটন দপ্তর তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এর ফলে বাইরে থেকে আরও বেশি করে মানুষ এখানে আসবেন।

পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে এখানে মেলা বসানো হবে। তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এলাকার মানুষ। এর পাশাপাশি, এই উৎসবে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে 'অনন্য পুরষ্কার'‌ দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

শান্তিপুরের রাস উৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক মুকুল রায়। এর আগে এদিন কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ মাঠে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন