সমকালীন প্রতিবেদন : প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর বুকে ছুরি বসিয়ে দিল স্বামী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল স্ত্রীর। শুক্রবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানা এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত বধূর নাম বর্ণালী রায়। তাঁর স্বামীর নাম বাপ্পাদিত্য রায়। ১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বাপ্পাদিত্য রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে কর্মরত। তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।
বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই পারিবারিক কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে একাধিকবার মীমাংসা বৈঠক ডেকেও তাদের সমস্যার কোনো সমাধান করা সম্ভব হয় নি। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদও হয় নি।
এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন বর্ণালী। শুক্রবার স্কুলে মেয়ের পরীক্ষা ছিল। আর তাই এদিন মেয়েকে নিয়ে কাঁথি গার্লস স্কুলে এসেছিলেন বর্ণালী। মেয়েকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে স্কুলের বাইরে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে তিনিও অপেক্ষা করছিলেন।
এই সময় হঠাৎই সেখানে উপস্থিত হয় বর্ণালীর স্বামী বাপ্পাদিত্য। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়। আর তারইমধ্যে হঠাৎ করে পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে স্ত্রীর বুকে, হাতে এলোপাথারি কোপ দিতে শুরু করে বাপ্পাদিত্য।
ছুরির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পরেন বর্ণালী। তাঁর গোটা শরীর রক্তে ভেসে যেতে থাকে। স্থানীয়রাই এরপর বর্ণালীকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থল থেকে খুব কাছেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দপ্তর। ঘটনার খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ কর্মীরা ছুটে এসে খুনী স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন খুনের ঘটনায় কাঁথি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন