সমকালীন প্রতিবেদন : সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে এখনও বনগাঁ শহরে স্কুল শিক্ষকদের একাংশ রমরমিয়ে গৃহশিক্ষকতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার সকালে এমনই দৃশ্য ধরা পরল ক্যামেরায়। এদিন বনগাঁর কেশবলাল বিদ্যাপীঠের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সুমন দে–র মতিগঞ্জ, চামড়াকুঠি এলাকার বাড়িতে হাজির হন গৃহশিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা।
তাঁদের ক্যামেরায় ধরা পরে প্রাইভেট টিউশনের সেই দৃশ্য। সেখানে বনগাঁ হাইস্কুলের মেধাবী পড়ুয়ারা ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট টিউশন পরছিল। এব্যাপারে ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, তারা বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র। তাদের স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা, ক্লাস হয় না। তাই বাধ্য হয়ে তারা অন্য স্কুলের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট টিউশন পরতে এসেছে।
শিক্ষক সুমন দে প্রাইভেট টিউশন করার পেছনে যুক্তি হিসেবে শুনেয়েছেন যে, তিনি জোর করে কাউকে বাড়িতে ডেকে আনছেন না। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনে তাঁর কাছে প্রাইভেট টিউশন নিতে আসে। নিজের স্কুলের নয়, অন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তিনি পড়াচ্ছেন।
গৃহশিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা জানালেন, এদিন যখন তাঁরা শিক্ষক সুমন দে–র বাড়িতে গিয়ে গৃহশিক্ষকতা বন্ধের ব্যাপারে অনুরোধ করতে যান, তখন তাঁর মা না কি তাঁদেরকে জানিয়েছেন, তার ছেলে একটি হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে যে বেতন পান, তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না, তাই ছেলে প্রাইভেট টিউশন করেন।
সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আর কতদিন সুমন দে–র মতো স্কুল শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাবেন, আর তার প্রেক্ষিতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন