Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১০ জুলাই, ২০২২

বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন

 ‌

Father-and-son-brutally-murdered

শম্পা গুপ্ত : বাবা এবং ছেলেকে একইসঙ্গে নৃশংসভাবে খুন করা হল। গ্রামবাসীরা এই বাবা–ছেলের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে প্রথমে এক সিভিক ভলান্টিয়াকে জানান। তিনিই পরে থানায় খবর দেন। পুরুলিয়ার মফ:স্বল থানার কানালী গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত মদন পাণ্ডে(৭৫) এবং তার ছেলে কানাই পাণ্ডে(৩৩) কালানী গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে তাঁদের দুজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় আয়মন্ডী থেকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে খবর যায় স্থানীয় থানায়।

খবর পেয়ে পুরুলিয়া মফ:স্বল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা দেহ দেখে জানান, অনেকক্ষণ আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করেছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। 

পরিবারের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে রবিবার সকাল থেকে আইমণ্ডির কাছে বেশ কিছুক্ষণ ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। 

অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অবরোধকারীদের পুলিশ আশ্বস্ত করলে পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, বাবা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। দুজনের মাথাতেই গভীর ক্ষত দেখতে পাওয়া গেছে। 

পুলিশের ধারনা, কুড়ুল জাতীয় কিছু দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান এব্যাপারে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে দেহ দুটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, চাষ রোডে একটি পেট্রোল পাম্পে তাঁরা দুজন ম্যানেজারের কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও কাজ সেরে একটি বাইকে করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। 

মৃত কানাই পাণ্ডের স্ত্রী মামনী পাণ্ডে জানান, রাত আটটা নাগাদ তিনি স্বামীর মোবাইলে ফোন করেন। ২ বার রিং হবার পর ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। এরপর শ্বশুরের মোবাইলে ফোন করেন। সেই ফোনেও ২ বার ফোনে রিং হয়। এরপর ওই ফোনটিও সুইচ অফ হয়ে যায়। 

এরপর রাত দশটা নাগাদ গ্রামের মানুষের কাছ থেকে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, বাড়ির দুই সদস্যের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে আয়মন্ডী এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে গেছে তাঁদের দুজনের মোবাইল ফোন এবং বাইক। কী কারণে এই খুন, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন