সমকালীন প্রতিবেদন : এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০ এ স্থান পেয়েছেন ২৭২ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছাত্র ১৪৪ জন এবং ছাত্রী ১২৮ জন। এই প্রথমবার প্রথম দশে এতোজন পরীক্ষার্থী স্থান পেলেন। এঁদের মধ্যে ৪৯৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন কোচবিহারের দিনহাটা সোনীদেবী জৈন হাইস্কুলের অদিশা দেবশর্মা। শতাংশের হিসেবে ৯৯.০৬।
৪৯৭ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনের সায়নদীপ সামন্ত। শতাংশের হিসেবে ৯৯.০৪। তৃতীয় হয়েছেন ৪ জন। তাঁদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। শতাংশের হিসেবে ৯৯.০২।
এই ৪ পরীক্ষার্থী হলেন কলকাতার পাঠভবনের ছাত্র রহিন সেন, হুগলী কলেজিয়েট স্কুলের সোহম দাস, কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউটের অভিক দাস এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনের পরিচয় পারি।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর সিলেবাস কমিয়ে হোম সেন্টারে ২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তার ৪৪ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ হলো, যা একটি রেকর্ড। মোট ৫৬ টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৪ টি ভাষায় প্রশ্নপত্র ছাপা হয়।
এবছর মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২ জন। তাঁদের মধ্য পাশ করেছেন ৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৭৫ জন। শতাংশের হিসেবে পাশের হার ৮৮.৪৪। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ৬৫৪৮৬ জন বেশী ছিল।
আজ দুপুর ১২ টার পর থেকে ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ ফল জানা এবং তার প্রিন্ট পাওয়া গেলেও ২০ জুন থেকে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের স্কুল থেকে সংসদের মার্কশিট হাতে পাবেন। আগামী বছর ১৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ সম্পূর্ণ সিলেবাসে হোম ভেনুর বদলে পুরনো নিয়মে আলাদা ভেনুতে পরীক্ষার সিট পরবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন