সমকালীন প্রতিবেদন : পণ্য আমদানি–রপ্তানী বানিজ্যের ক্ষেত্রে জরিমানার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শুল্ক দপ্তরের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আর্ন্তজাতিক পণ্য বানিজ্য বন্ধ রাখলো বাংলাদেশের বহি:বানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত যৌথ মঞ্চ। এর ফলে এদিন ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি–রপ্তানী বানিজ্য বন্ধ থাকলো।
শুধু পেট্রাপোল সীমান্ত নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত ভারতের সমস্ত সীমান্ত দিয়েই এমনকি জলপথেও বানিজ্য বন্ধ থাকলো। এই বানিজ্য বন্ধের কারণে একদিকে যেমন ভারত সরকারের আর্থিক ক্ষতি হল, তেমনই রাস্তায় এবং পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে পরল প্রচুর পণ্যবোঝাই ট্রাক। এক্ষেত্রে পচনশীল দ্রব্যের ট্রাকগুলি ক্ষতির মুখে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন কিছু সমস্যার কারণে আমদানি–রপ্তানী বানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সেদেশের বেশ কয়েকটি বানিজ্যেক সংগঠন যৌথভাবে একদিনের এই প্রতীকি বনধ ডেকেছে। সেই কারণে আজ বানিজ্য বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে পালন করা এই বানিজ্য বন্ধের বিষয়ে সরকারিভাবে ভারতীয় শুল্ক দপ্তরকে কিছু জানানো হয় নি। ভারতীয় শুল্ক দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত কোনও নোটিশ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নি। ফলে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তাঁরা পেট্রাপোল বন্দর খোলা রেখেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন