সমকালীন প্রতিবেদন : পুলিশ পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানা এলাকায়। চলন্ত বাস থেকে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে ছিনতাই করে নেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের রুপোর সামগ্রী। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রাকেশ সেন নামে এক ব্যবসায়ী যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শিলিগুড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে নাইট সার্ভিস বাসে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের রুপোর সামগ্রী ছিল। বাসটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে যে এত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই যুবক।
বারাসত ডাকবাংলো মোড় পার হবার পরেই ৬–৭ জন যুবক নিজেদেরকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরাসরি যুবকের কাছে উপস্থিত হয়। এরপর ওই যুবকের জামার কলার ধরে টানতে টানতে জোর করে বাস থেকে নামায়। তাঁকে বাস থেকে নামানোর সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কন্ডাক্টরের হাতে আগন্তুকেরা ৫০০ টাকা গুঁজে দেয় এরপর বাসটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ওই যুবককে এরপর থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে একটি গাড়িতে তোলা হয়। তারপর বারাসত সান্ধ্য কলেজের পাশ দিয়ে অলিগলি ঘুরে বারাসত–ব্যারাকপুর রোড ধরে চলতে শুরু করে গাড়িটি। এরপর একটি ফাঁকা জায়গায় গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে ওই যুবককে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রুপোর সামগ্রী বোঝাই ব্যাগ নিয়ে গাড়ি চালিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই আগন্তুকেরা। তার আগে অবশ্য কোনওরকমে নিজের মোবাইল ফোনটি তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে সমর্থ হন ওই যুবক।
ততক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন, আগন্তুকেরা আদৌও পুলিশের লোক নয়, তারা ছিনতাইবাজ। রাস্তার উপর যখন এই ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে, তখন তা প্রত্যক্ষ করেন পথচলতি এক ব্যক্তি। তাঁর সহযোগিতায় তাঁর বাইকে করে বারাসত হেলাবটতলা পর্যন্ত ওই গাড়ির পিছু ধাওয়া করলেও শেষ পর্যন্ত গাড়িটির আর কোনোও সন্ধান পাননি তাঁরা। গোটা ঘটনা লিখিত আকারে বারাসত থানাকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন