Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২

‌দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, জখম একাধিক

Clashes-between-the-two-groups

শম্পা গুপ্ত : একটি বেসরকারী ইস্পাত কারখানায় ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ নিয়ে দুটি দলের মধ্যে ব্যাপক ‌সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহত ২ জন। তাঁদেরকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়ার নিতুরিয়া এলাকায়। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 


পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিতুরিয়ার বেনীপুর বেসরকারী ইস্পাত কারখানা রয়েছে। সেখানে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বৃহস্পতিবার রাতে। আর তাতেই জখম হন ২ জন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের রাতেই হারমাড্ডি গ্রামীন হাসপাতাল এবং রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার গোটা রাত এলাকায় পুলিশি টহল জারি ছিল। শুক্রবারও গ্রামে নিতুরিয়া থানার দুটি গাড়ী সহ বেশ কিছু পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়। 


পুলিস ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝনকা ফাটকে অবস্থিত ওই বেসরকারী ইস্পাত  কারখানায় ইঁট, বালি সহ বিভিন্ন ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করা নিয়ে বেনীপুর গ্রামের দুটি দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝগড়া লেগেই রয়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার মধ্যস্থতা করেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয় নি। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে গোলমাল চরম আকার নেয়। কাজল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জানান, '‌এই কারখানাটিতে ইঁট, বালি ইত্যাদির মতো ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করার জন্য মোট তিনটি সিন্ডিকেট কাজ করে। আমাদের একটি গাড়ী কারখানায় জল সরবরাহ করে। আমরা চেয়েছিলাম আমাদেরও বালি সরবরাহ করতে দেওয়া হোক।'‌ 


আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন বেনীপুর গ্রামেরই একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রথমে বচসা বাঁধে। পরে তা হাতাহাতিতে পরিনত হয়। লাঠি, রড ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালানো হলে স্বপন মণ্ডল এবং প্রকাশ মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তির মাথা এবং মুখ ফেটে যায়। এছাড়া,  আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ এসে পৌঁছানোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। নিতুরিয়া থানার পুলিশই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন